রাজীবকে খুনে অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজীবের দল কংগ্রেস। ছবি পিটিআই।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ৬ জনকে গত ১১ নভেম্বর মুক্তি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দোষীদের মুক্তি দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য এ বার শীর্ষ আদালতে আবেদন জানাতে চলেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা সোমবার জানিয়েছেন, আগামী ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে আদালতে এই নিয়ে আবেদন জানাতে চলেছেন তাঁরা।
১১ নভেম্বর একটি নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছ’জনকে মুক্তির নির্দেশ দেয়। এই তালিকায় ছিলেন নলিনী শ্রীহরণ, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার। ওই মামলার আর এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালনকে চলতি বছরের মে মাসে মুক্তি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। নলিনী-সহ অন্য দোষীরাও রাজীব হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত। তাঁরা ২৩ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি ছিলেন।
দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আগেই ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ এবং ‘সম্পূর্ণ ভুল’ বলে অভিহিত করেছিল কংগ্রেস। দলের তরফে বলা হয়েছিল, “অপরাধীরা জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন, জামিন পাননি। তাই তাঁদের যেন ‘হিরো’ হিসাবে দেখা না হয়।”
১৯৯১-এর ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীবের মৃত্যু হয়েছিল। পরে জানা যায়, শ্রীলঙ্কার বিদ্রোহী তামিল গোষ্ঠী এলটিটিই-র ধানু নামে এক মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গি নিজেকে বোমার সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনায় ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন যায়। সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে দেরি হওয়ায় ২০১৪-য় সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বদলে যায়।
২০১৮-য় তামিলনাড়ুর তৎকালীন এডিএমকে মন্ত্রিসভা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের সময়ের আগে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্তনামা তামিলনাড়ুর তৎকালীন রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে গেলে তা তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠান। রাজ্যপাল এ বিষয়ে সিলমোহর না দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পেরারিভালন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তাঁর মুক্তির পর নলিনী এবং রবিচন্দ্রন মুক্তি চেয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। গত জুন মাসে মাদ্রাজ হাই কোর্ট এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে ‘পরামর্শ’ দেয় নলিনীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy