— প্রতীকী ছবি।
রাজস্থানের পালি জেলায় মর্মান্তিক ঘটনা। নিজের বড় মেয়েকে পরিবারের কলহের কারণ হিসাবে বর্ণনা করে তাঁকেই প্রথমে গলা কেটে, তার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারলেন বাবা। পলাতক বাবার খোঁজে হন্যে রাজস্থান পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, অভিযুক্ত শিবলাল মেঘওয়াল গত ১২ বছর ধরে পরিবারের থেকে আলাদা থাকছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, শিবলালের স্ত্রী এবং সন্তানেরা থাকেন গুজরাতে। মৃতার পরিবারের দাবি, শিবলাল মনে করতেন, তাঁর বড় মেয়ে নিরমার কারণেই তাঁর সংসারে অশান্তি চলছে। অভিযোগ, পরিবারের উপর ‘কুপ্রভাব’ কাটাতে মেয়েকে খুন করার পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেন শিবলাল। ৩২ বছরের নিরমা বিবাহিত, অন্যত্র থাকেন।
সম্প্রতি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পালিতে এসেছিলেন নিরমা। একই সঙ্গে এসেছিলেন নিরমার ছোট বোনও। সেখানেই দুই বোনের সঙ্গে তাঁদের বাবা শিবলালের দেখা হয়। অভিযোগপত্রে লেখা আছে, বিয়ের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির মধ্যেই শিবলাল তাঁর দুই মেয়েকে বলেন, কাছেই একটি জায়গায় যাওয়ার কথা। দুই মেয়ে রাজি হন বাবার প্রস্তাবে। তার পর দুই মেয়েকে নিয়ে একটি নির্জন জায়গায় আসেন শিবলাল। সেখানে ছোট মেয়েকে অপেক্ষা করতে বলে তিনি নিরমাকে নিয়ে আরও ভিতরে চলে যান। এর পরেই শিবলাল নিজের মেয়ের গলা কেটে দেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে নিরমার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুনও জ্বালিয়ে দেন বলে অভিযোগ। বেশ কিছু ক্ষণ পর ছোট মেয়ের কাছে ফিরে আসেন শিবলাল। কিন্তু দিদিকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় বোনের। তিনি বাবাকে বার বার প্রশ্ন করতে থাকেন, দিদি কোথায়? এরই মধ্যে ছোট মেয়ের নজরে আসে, শিবলালের হাতে এবং পোশাকে রক্তের দাগ। চিৎকার, চেঁচামেচি শুরু করেন ছোট মেয়ে। মেয়ের চেঁচামেচিতে শিবলাল পালিয়ে যান। তার পর গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে নিরমাকে খুঁজতে বেরোন ছোট বোন। কিছুটা দূরে গিয়ে দেখা যায় মাটিতে পড়ে রয়েছে নিরমার অর্ধদগ্ধ দেহ। গলা কাটা।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পালিতে। পুলিশ অভিযোগ নথিভুক্ত করে অভিযুক্ত শিবলালের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, খুব দ্রুত শিবলালকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy