ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। ছবি: সংগৃহীত।
১৯ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার করা গেল না তিন বছরের শিশুকে। মঙ্গলবারও উদ্ধারকাজ জারি রেখেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ)। সোমবার দুপুরে নিজেদের জমিতে খেলছিল বছর তিনেকের শিশুকন্যা চেতনা। সেই জমিতেই ৭০০ ফুট গভীর একটি খোলামুখ কুয়ো রয়েছে। খেলতে খেলতে আচমকাই কুয়োর কাছে চলে গিয়েছিল চেতনা। পা ফস্কে কুয়োতে পড়ে যায় সে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অনেক ক্ষণ খুঁজে না-পেয়ে শিশুটির বাবা-মায়ের সন্দেহ হয়, তখন তাঁরা দেখেন কুয়োর কাছে এক পাটি চটি পড়ে রয়েছে। কান্নার আওয়াজ আসছে কুয়োর ভিতর থেকে। পড়শিদের ডেকে প্রথমে উদ্ধারের চেষ্টা হয়। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। দমকল এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারাও উদ্ধারের চেষ্টা করে। শেষমেশ এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ ঘটনাস্থলে আসে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, কুয়োটি ৭০০ ফুট গভীর হলেও সেটির ১৫০ ফুট গভীরে আটকে রয়েছে শিশুটি।
অক্সিজেন পাঠিয়ে শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। ক্যামেরাও পাঠানো হয়েছে। শিশুটির অবস্থান সম্পর্কে প্রতি মুহূর্তে নজরদারি চালানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ ক্ষণ পেরিয়ে গেলেও শিশুটি উদ্ধার না-হওয়ায় আশঙ্কা বাড়ছে। যদিও ‘হুক’ কৌশলের মাধ্যমে শিশুটিকে দ্রুত বার করে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। এনডিআরএফ কমান্ড্যান্ট যোগেশ মীনা জানিয়েছেন, প্রথমে শিশুটিকে একটি রিংয়ের মধ্যে আটকে বার করে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই রিং গর্তে আটকে যাওয়ায় সেই প্রচেষ্টা বিফলে যায়। এ বার তাই ‘হুক’ কৌশল ব্যবহার করে শিশুটিকে বার করে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন। এ ছাড়াও শিশুটির অভিভাবকদেরও অনুমতি প্রয়োজন এ ক্ষেত্রে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy