ফাইল ছবি
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত আজ বিচার বিভাগ সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নানা চাঁচাছোলা কথা বলেছেন। জয়পুরের মঞ্চে তখন উপস্থিত দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু এবং সুপ্রিম কোর্ট ও রাজস্থান হাই কোর্টের বিচারপতিরা। জয়পুরে ১৮তম ‘অল ইন্ডিয়া লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটিজ় মিট’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি।
পয়গম্বরকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে দল থেকে বহিষ্কৃত বিজেপির নেত্রী নূপুর শর্মার মামলায় তাঁদের মন্তব্যের জন্য যে ভাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নিশানা করা হয়েছিল, সেই সূত্র ধরেই গহলৌত কথাগুলি বলেছেন। তিনি এই সংক্রান্ত একটি গণচিঠির উল্লেখ করেন। তাতে সই ছিল প্রাক্তন বিচারপতি, প্রাক্তন আমলা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকদের। গহলৌত বলেন, ‘‘১১৬ জনকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল (দু’জন বিচারপতির বিরুদ্ধে)। ...জানি না কী ভাবে এটা পরিচালিত হয় আর এর থেকে সমস্যা পাকিয়ে তোলা হয়েছিল।’’
অবসর-পরবর্তী ভূমিকা বিচারপতিদের কাজকে প্রভাবিত করতে পারে কি-না, সেই প্রশ্ন গহলৌত তুলেছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবং বর্তমানে রাজ্যসভার সদস্য রঞ্জন গগৈয়ের উদাহরণ দিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘ভাবুন, সুপ্রিম কোর্টের চার জন বিচারপতি বলেছিলেন ‘গণতন্ত্র হুমকির মুখে’। এবং যাঁরা এই সব বলেছেন, তাদের মধ্যে এক জন রঞ্জন গগৈ। আমি রাষ্ট্রপতিকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ‘মিস্টার গগৈ আগে ঠিক ছিলেন না এখন?’ এটা আমার বোধগম্যতার বাইরে। মেয়াদকালে যদি কেউ ভেবে থাকেন যে তিনি অবসরের পরে কোন পদে যেতে চলেছেন, তা হলে সত্যিকারের কাজটা করবেন কী ভাবে?’’
গহলৌতের বক্তব্য, দেশে ‘হিংসা ও উত্তেজনার’ পরিবেশ কাটাতে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়া উচিত। তাঁর কথায়, ‘‘যে কোনও গণতন্ত্র সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে চলে। মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কথা শোনেন এবং সেই কারণেই তাঁকে ভোট দেন। আমি বিশ্বাস করি আইনমন্ত্রী তাঁকে বোঝাতে পারবেন। তিনি আমাদের কথা শোনেন না।’’
‘খেলায় বুড়ি-ছোঁয়ার’ মতো করে যে ভাবে রাজ্যের ক্ষমতার বদল হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতকে বিস্ময় প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছে তাঁর নিজের সরকার টিকে যাওয়া নিয়ে। রাজনীতিতে ‘ঘোড়া কেনাবেচার’ উল্লেখ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘দেশে পরিস্থিতি খুবই গুরুতর। রাজ্য সরকারগুলোকে উৎখাত করা হচ্ছে। গোয়া, মণিপুর, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র। এটা তামাশা চলছে না গণতন্ত্র?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy