দল থেকে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হল রাজস্থানের সেই ‘বিতর্কিত’ বিজেপি নেতা জ্ঞানদেব আহুজাকে। তাঁকে শো কজ়ও করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির তরফে একটি নোটিস পাঠিয়ে জ্ঞানদেবকে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জ্ঞানদেবকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, তিন দিনের মধ্যে জবাব না দিলে, তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করা হবে।
বিতর্কের সূত্রপাত রাজ্য কংগ্রেসের দলিত বিধায়ক টিকারাম জুলির মন্দির পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে। অলওয়ারের বিধায়ক টিকারাম রামনবমীর দিন একটি স্থানীয় মন্দির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, বিধায়ক চলে যাওয়ার পর বিজেপি নেতা জ্ঞানদেব গঙ্গাজল ছিটিয়ে মন্দিরের ‘শুদ্ধিকরণ’ করেন। তার পর পুজো করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। বিজেপি নেতা জ্ঞানদেবের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন:
এই ঘটনা নিয়ে কংগ্রেস যখন আক্রমণ আরও ধারালো করেছে, আত্মপক্ষ সমর্থনে বিজেপি নেতা দাবি করেন, কোনও জাতের প্রতি তাঁর বিদ্বেষ নেই। তিনি এক জন দলিত সমর্থক। তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে কংগ্রেস। এ প্রসঙ্গে জ্ঞানদেবের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘এগুলি সবই কংগ্রেসের ধ্যানধারণা। টিকারাম জুলির বিরুদ্ধে আমার কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তাঁর জন্মদিনেও গিয়েছিলাম।’’ এর পরই জ্ঞানদেব প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কংগ্রেস যখন দাবি করে রামসেতুর কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই, তা হলে তারা মন্দিরে কেন আসে?’’ তবে তিনি কারও ভাবাবেগে আঘাত করতে চাননি বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা।
বিজেপি নেতা সাফাই দেওয়ার পরেও কিন্তু বিতর্ক থামেনি। বরং বেড়েছে। শেষমেশ দলীয় নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয় রাজ্য বিজেপি। দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে জ্ঞানদেবকে নিলম্বিত করা হয়।