ছবি: পিটিআই। Vote
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজস্থানে ৬৮.৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পোখরান বিধানসভা কেন্দ্রে। ভোটদানের নিরিখে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে বাগিডোরা এবং জয়সলমের।
মরুরাজ্য রাজস্থানের ২০০টি আসনের মধ্যে ১৯৯টি আসনে সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটের হার ৪০.২৭ শতাংশ।
রাজস্থানের কোটায় ভোট দিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। ভোট দিয়ে বেরনোর পর বিড়লা বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের এই উৎসবে সকলে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করছে। মতামত প্রকাশের জন্য প্রত্যেক নাগরিকের ভোট দেওয়া উচিত।’’
ভোটের মাঝে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক পোলিং এজেন্টের। রাজস্থানের পালি জেলার সুমেরপুর এলাকার ঘটনা। ভোটগ্রহণ পর্ব চলাকালীন বুথের মধ্যেই আচমকা লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই বিধানসভা কেন্দ্রের ৪৭ নম্বর বুথে এক প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন শান্তি লাল। কোন দলের হয়ে তিনি কাজ করছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সর্দারপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথে ভোট দিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। তিনি নিজে সর্দারপুরা কেন্দ্রেরই কংগ্রেস প্রার্থী।
সকাল ১১টা পর্যন্ত রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের হার ২৪.৭৪ শতাংশ।
ভোটগ্রহণ চলছে মরুরাজ্য রাজস্থানে। সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোটের হার ৯.৭৭ শতাংশ।
ঝালাওয়ারের একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিলেন রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ঝালারাপাটন বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বসুন্ধরা রাজে। ভোট দিতে যাওয়ার আগে মন্দিরে পুজো দেন তিনি। অন্য দিকে, রাজস্থানের বিকানের পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অর্জুন রাম মেঘওয়াল। ভোট দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘রাজস্থানে বিজেপি একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করবে। আমরা এখানে গণতন্ত্রের শক্তি দেখতে পাচ্ছি। বিপুল সংখ্যক মহিলা ভোট দিতে এসেছেন।’’
জয়পুরের সিভিল লাইন এলাকায় একটি বুথে গিয়ে ভোট দিলেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। পাইলট টঙ্ক বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী। ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতের সরকারের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ চালাতে গিয়ে ‘ব্যর্থ’ হয়েছিলেন পাইলট। অনুগামী ১৯ জন বিধায়ককে নিয়ে দিল্লির অদূরে মানেসরে একটি রিসর্টে গিয়ে উঠেছিলেন তিনি। কংগ্রেসের অন্দরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, মধ্যপ্রদেশের জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের মতোই বিজেপির সহায়তায় পাইলট রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার ফেলে দিতে পারেন। তবে কিছু দিন পরেই বিদ্রোহে ইতি টানেন প্রয়াত রাজেশ পাইলটের পুত্র। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হয়েছিল তাঁকে।
শনিবার সকাল সকাল জয়পুরের একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিলেন জয়পুর গ্রামীণ কেন্দ্রের সাংসদ তথা জোটওয়ারা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজ্যবর্ধন রাঠৌর।
রাজস্থানের ২০০টি আসনের মধ্যে ১৯৯টি আসনে সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। শ্রীগঙ্গানগর জেলার করণপুর কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী গুরমিত সিংহ কুনারের মৃত্যুর কারণে সেই কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে।
২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ‘জাদুসংখ্যা’ ১০১। কয়েকটি জনমত সমীক্ষা বলছে, পাঁচ বছর অন্তত সরকার বদলের প্রথা মেনেই এ বার কংগ্রেসকে হারিয়ে জয়পুরের কুর্সি দখল করতে পারে বিজেপি। এবিপি-সি ভোটার জনমত সমীক্ষার পূর্বাভাস বিজেপি ১১৪ থেকে ১২৪টি আসনে জিতে সরকার গড়তে পারে। কংগ্রেস পেতে পারে ৬৭ থেকে ৭৭টি আসন। নির্দল এবং অন্য দলগুলির ঝুলিতে যেতে পারে ৫ থেকে ১৩টি আসন। যদিও মরুরাজ্যে বরাবরই প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসনে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় কম ভোটের ব্যবধানে। তেমন হলে ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে ‘নির্ণায়ক’ হয়ে উঠতে পারে নির্দল এবং ছোট দলগুলির ভূমিকা।
২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতের সরকারের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থান’ চালাতে গিয়ে ‘ব্যর্থ’ হয়েছিলেন পাইলট। অনুগামী ১৯ জন বিধায়ককে নিয়ে দিল্লির অদূরে মানেসরে একটি রিসর্টে গিয়ে উঠেছিলেন তিনি। কংগ্রেসের অন্দরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, মধ্যপ্রদেশের জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের মতোই বিজেপির সহায়তায় পাইলট রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার ফেলে দিতে পারেন। তবে কিছু দিন পরেই বিদ্রোহে ইতি টানেন প্রয়াত রাজেশ পাইলটের পুত্র। যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ খোয়াতে হয়েছিল তাঁকে। এ সবের আবহে আবার এক বিধানসভা ভোটের মুখোমুখি রাজস্থান।
২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে রাজস্থানের ২০০টি আসনের মধ্যে ১০০টিতে জয়ী হয় কংগ্রেস। জোটসঙ্গী আরএলডি পায় একটি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ৭৩টি আসন। তা ছাড়া, বিএসপি ৬, আরএলপি ৩, বিটিপি ২, সিপিএম ২ এবং নির্দল প্রার্থীরা ১৩টি কেন্দ্রে জয়ী হন।
বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে (ঝালারাপাটন) এবং প্রাক্তন দুই রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া (অম্বর)। বিধানসভা ভোটে সাত জন লোকসভা সাংসদকেও প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অলিম্পিক পদকজয়ী প্রাক্তন শুটার তথা জয়পুর গ্রামীণ কেন্দ্রের সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌর, রাজসমন্দের সাংসদ দিয়া কুমারী, ঝুনঝুনুর সাংসদ নরেন্দ্র কুমার, জালৌরের বিজেপি সাংসদ দেবজী পটেল, অজমেরের ভগীরথ চৌধুরি এবং অলওয়ারের সাংসদ মহন্ত বালকনাথ।
কংগ্রেসের উল্লেখ্যযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত (সর্দারপুরা), প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট (টঙ্ক), প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিংহ দোতাসরা, প্রাক্তন এশিয়াড পদকজয়ী ‘ডিসকাস থ্রোয়ার’ কৃষ্ণা পুনিয়া এবং অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার কেন্দ্রীয় অর্থ এবং বিদেশমন্ত্রী প্রয়াত যশোবন্ত সিংহের ছেলে মানবেন্দ্র।
ভোটপ্রচার শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত কংগ্রেস এবং বিজেপি। এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিএসপি, আপ। কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে এ বার বিজেপি তাদের প্রচারে জোর দিয়েছে গত কয়েক বছরে ক্রমবর্ধমান হিংসা এবং অপরাধের ঘটনার উপর। গহলৌত সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে বিভিন্ন সরকারি কাজে দুর্নীতির ঢালাও প্রচার হয়েছে। অন্য দিকে, গত বারের সরকারের সাফল্যকে খতিয়ান করে প্রচার করেছে কংগ্রেস। আবার ক্ষমতায় এলে ২৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা বিমা, উজ্জ্বলা প্রকল্পে সুবিধাপ্রাপ্তদের রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ৫০০ টাকার মধ্যে রাখা, মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে স্মার্টফোন দেওয়া-সহ গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস।
২৫ নভেম্বর, শনিবার রাজস্থানে বিধানসভা ভোট উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে সরকারি ছুটি ঘোষণা হয়েছে। অশোক গহলৌতের সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, স্কুল-কলেজ, ব্যাঙ্ক, সরকারি সমস্ত অফিস বন্ধ থাকবে শনিবার। ঘটনাচক্রে, ২৫ নভেম্বর মাসের শেষ শনিবার হওয়ায় এমনিতেই ব্যাঙ্ক বন্ধ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy