বৃষ্টি, তুষারপাত, তুষার এবং ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। শুধু তা-ই নয়, এই দুর্যোগের জেরে বহু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাজ্যের বাকি অংশগুলি থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে লাহুল-স্পিতি। শুক্রবার থেকে হিমাচলের পাহাড়ি অঞ্চলে ভারী তুষারপাত শুরু হয়েছে। পাহাড়ের নীচের এলাকা আবার ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, টানা বৃষ্টির জেরে বহু এলাকায় ধস নামছে। ইতিমধ্যেই ৫৮৩টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি জাতীয় সড়কও রয়েছে। লাহুল-স্পিতিতে গত তিন দিন ধরে তুষারপাত হচ্ছে। ফলে রাজ্যের অন্য অংশ থেকে এই জেলা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। দুর্যোগের জেরে জেলার স্কুলগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাহুল-স্পিতিতেই ১৬৫টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
সবচেয়ে পরিস্থিতি খারাপ কুলু, মানালি এবং লাহুল-স্পিতি জেলার। এই তিন জেলায় তুষারপাত এবং তুষারধস হচ্ছে। আবার পাহাড়ের নীচু এলাকায় হড়পা বানের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ভারী বৃষ্টির জেরে। লাহুল-স্পিতির কোকসার, সিসু, কেলং, জিসপা, তান্ডি, গোন্ডলায় ৪ ফুটের মতো তুষারপাত হয়েছে। লাহুলের জোবরাং গ্রামে তুষারধস নেমেছে। আরও একটি তুষারধস নামে তুপচিলিং গ্রামের কাছে।
অন্য দিকে, কুলু এবং মানালিতে এই মরসুমের সবচেয়ে বেশি তুষারপাত হয়েছে শুক্রবারে। মানালিতে এক ফুট পুরু বরফ জমেছে। সোলাং উপত্যকায় দু’ফুটের মতো তুষারপাত হয়েছে। মানালি যাওয়ার সমস্ত রাস্তা বন্ধ। কুলুতেও দুর্যোগের ছবিটা এক।