ঘরে ঢুকেছে জল, নিরাপদ জায়গার সন্ধানে মানুষ। ছবি— পিটিআই।
জল থইথই দিল্লি থেকে কর্নাটক, তেলঙ্গানা, পঞ্জাব থেকে মহারাষ্ট্র, গুজরাত। আগামী ২৮ জুলাই পর্যন্ত এ ভাবেই বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। এই অবস্থায় আগামী দু’দিনের জন্য সমস্ত স্কুল, কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছে হায়দরাবাদ প্রশাসন। তেলঙ্গানার বিস্তীর্ণ অংশে বন্যা পরিস্থিতির জেরে বন্ধ স্কুল। নয়ডা এবং বৃহত্তর নয়ডা এলাকাতেও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বুধবার বন্ধ থাকছে।
দিল্লি
সকাল থেকেই ঝেঁপে বৃষ্টি দিল্লি এবং সংলগ্ন কিছু অঞ্চলে। এর জেরে এমনিতেই যমুনার জলস্ফীতি নিয়ে গভীর চিন্তায় থাকা প্রশাসনের রক্তচাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা গিয়েছে যে, যমুনা বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয়ে বইছে। তবে যে ভাবে বৃষ্টি চলছে, তাতে যমুনা আবার বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। সকাল থেকেই বৃষ্টির জেরে রাজপথে ট্রাফিকের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে কাজের দিনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নাজেহাল হতে পারেন সাধারণ মানুষ।
গাজ়িয়াবাদ, নয়ডা এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত চলছে। কয়েকটি জায়গায় জলও জমে গিয়েছে নতুন করে। কিছু এলাকা আগে থেকেই জলমগ্ন ছিল। সেখানে আরও বৃষ্টি পরিস্থিতি ঘোরালো করে তুলছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বৃষ্টি এবং জল জমার কারণে বুধবার দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডার সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে।
অন্ধ্র এবং তেলঙ্গানা
শেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের সাক্ষী হয়েছে তেলঙ্গানার নিজ়ামাবাদ। সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আগামী দু’দিনও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে আগামী দু’দিনের জন্য লাল সতর্কতা জারি হয়েছে তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশে। হায়দরাবাদে আগামী দু’দিন সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হবে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এর জেরে অন্ধ্রের উপকূলবর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
মহারাষ্ট্র
মহারাষ্ট্রের রায়গড়, পুণে, সাতারা এবং রত্নাগিরি জেলায় বুধবারের জন্য লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। মুম্বই, পালঘর এবং ঠাণেতে যথারীতি জারি রয়েছে কমলা সতর্কতা। রায়গড়-সহ একাধিক জেলায় স্কুল, কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কর্নাটক
বৃষ্টিবিধ্বস্ত কর্নাটকও। উপকূলবর্তী কর্নাটকে হড়পা বানের আশঙ্কায় বুধবার সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকেও বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে বাসিন্দাদের। কর্নাটকের মালনাড এলাকায় অবিশ্রান্ত বৃষ্টি চলছে। সেখানে আবহাওয়া দফতর কমলা সতর্কতা জারি করেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি হয়েছে। দক্ষিণ কন্নাডা, উদুপি, উত্তর কন্নডা, চিকমাগালুরু, কোডাগু এবং শিবমোগা জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
ওড়িশা
গোটা রাজ্যেই ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ২৭ জুলাই পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। বহু এলাকায় বন্ধ রাখতে হয়েছে স্কুল, কলেজ। ব্যাপক প্রভাব পড়েছে জনজীবনেও। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে ওড়িশায় আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে উপকূল সংলগ্ন ওড়িশায়।
হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ড
বৃষ্টি থামার পূর্বাভাস নেই হিমাচল বা উত্তরাখণ্ডেও। এমনিতেই এই দুই রাজ্য বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। আগামী দু’দিনেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতির সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। উত্তরাখণ্ডের আট জেলায় বুধ এবং বৃহস্পতিবার বিশেষ সতর্কতা জারি হয়েছে। বলা হয়েছে, হড়পা বান, ধস, কাদা ধসের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। বিভিন্ন নদীর আশপাশে বসবাসকারীদেরও আলাদা করে সতর্ক করা হয়েছে।
হিমাচলে মেঘভাঙা বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। মঙ্গলবারও মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়। তার জেরে কুলু জেলায় বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে চাষের জমির। ব্যাহত হয়েছে জনজীবন। এর ফলে একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy