নিজেদের বাংলোয় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেল রেল বোর্ডের এক এগজিকিউটিভ ডিরেক্টরের স্ত্রী ও ছেলের দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওই কর্তার নাবালিকা মেয়েই গুলি করে মেরেছে মা ও ভাইকে। খুনের কথা সে কবুল করেছে। উত্তরপ্রদেশের ডিজি এইচ সি অবস্থী জানান, মেয়েটি অবসাদগ্রস্ত। সে অপেশাদার শুটিং প্রতিযোগিতায় যোগ দিত। নিজের বন্দুক দিয়েই এই কাণ্ড ঘটায় সে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকারি বাসভবনের কয়েক কিলোমিটার দূরে, অভিজাত গৌতমপল্লি এলাকায় বাজপেয়ী পরিবারের বাংলো। রেলের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর আর ডি বাজপেয়ীর স্ত্রী মালিনী (৪৫) ও ছেলে শরদ (২০)-এর খুনের খবর আজ দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ পায় পুলিশ। বাংলোর বেডরুমে দেহ দু’টি উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে মাঝপথেই ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক বন্ধ করে দেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান। বাড়ির কর্তা ছিলেন শহরের বাইরে। তিনি লখনউ রওনা হন।
লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার সুজিত পাণ্ডে প্রথমেই বলেছিলেন, ঘটনাটিকে ডাকাতি হিসেবে দেখছেন না তাঁরা। বাড়ির দরজাও ছিল ভিতর থেকে বন্ধ। মেয়েটির হাতে ব্যান্ডেজ ছিল। সেটি খুলে দেখা যায়, হাতে টাটকা ক্ষত রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রেজ়রে হাত কেটে নিজের রক্ত দিয়ে বাথরুমের আয়নায় মেয়েটি লিখেছিল, ‘‘মানুষ হিসেবে আমি ডিসকোয়ালিফায়েড।’’ বন্দুকে পাঁচটি গুলি ভরার পরে প্রথম গুলি ওই আয়না লক্ষ্য করেই চালায় সে। একটি গুলিতে শরদের মাথা ফুঁড়ে দেয়। অন্যটিতে প্রাণ হারান মালিনী। মেয়েটিকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হচ্ছে। সূত্রের দাবি, বাজপেয়ী কর্মসূত্রে পশ্চিমবঙ্গে থাকার সময়ে পূর্বাঞ্চলের প্রতিযোগিতায় যোগ দিত মেয়েটি।
এই ঘটনার পরেই উত্তরপ্রদেশে ‘জঙ্গল রাজের’ অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। পরে ঘটনার মোড় ঘুরে যায়।