—ফাইল চিত্র।
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের রেওয়া-তে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘এটিই এশিয়ার বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প।’ সেই দাবির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রশ্ন উঠল, রাজস্থান, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশেই তো আরও বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। তা হলে রেওয়া এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম হল কী করে!
কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী আজ প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটিই শব্দ ব্যবহার করেছেন, ‘অসত্যাগ্রহী’। কংগ্রেসের অন্য নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু এ নিয়ে কোনও জবাব বা ব্যাখ্যা দেয়নি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত শক্তি মন্ত্রক।
শুক্রবার রেওয়ায় ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর প্রকল্পের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘রেওয়া ইতিহাস তৈরি করে ফেলল। এশিয়ার সব থেকে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের সঙ্গে রেওয়ার নাম জুড়ে গেল।’’ শনিবার এ নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তোলেন কর্নাটকের দেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার। তিনি বলেন, ৩ বছর আগেই কর্নাটকে ২০৫০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হয়েছে। পাশাপাশি কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাজস্থানে ২২৪৫ মেগাওয়াট, অন্ধ্রপ্রদেশে ১০০০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। গত জানুয়ারি মাসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিদ্যুৎ গয়াল কর্নাটকের পাভাগড়া বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বিশ্বের বৃহত্তম সৌর প্রকল্প আখ্যা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তার থেকে কম ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ প্রকল্পকে এশিয়ার বৃহত্তম আখ্যা দিলেন কী করে?
বিরোধীদের তিরের জবাবে বিজেপির সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নেতা বি এল সন্তোষ বলেন, “কর্নাটকের কিছু কংগ্রেস নেতা কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলছেন, কর্নাটকের প্রকল্প বৃহত্তম। তাঁরা সৌর পার্ক ও সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ফারাক বোঝেন না। রেওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্নাটকেরটি পার্ক।” বিজেপির ব্যাখ্যা, সৌর পার্কে একাধিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র থাকতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy