লোকসভায় রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হতেই কেরলের ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্র আসন শূন্য বলে ঘোষণা করা হল। সাংসদ শূন্য কেন্দ্রের তালিকায় রয়েছে আরও দু’টি লোকসভা কেন্দ্র। লোকসভার ওয়েবসাইটে, ওয়েনাড়ের পাশাপাশি জালন্ধর এবং লক্ষদ্বীপকেও সাংসদ শূন্য হিসাবে দেখানো হয়েছে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুলের করা মোদী-মন্তব্যের জন্য তাঁকে দু’বছরের করাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে সুরত জেলা আদালত। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। আর সেই কারণেই ওয়েনাড় কেন্দ্র বর্তমানে অভিভাবকহীন।
আরও পড়ুন:
একই সঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ সন্তোখ সিংহ চৌধুরীর মৃত্যুতে জালন্ধরের আসনটি শূন্য হয়েছে। লক্ষদ্বীপ সাংসদ শূন্য, কারণ, দু’মাস আগে খুনের চেষ্টার অপরাধে ১০ বছর জেলের সাজাপ্রাপ্ত লক্ষদ্বীপের এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়জলকে লোকসভা থেকে বরখাস্ত করেছিলেন স্পিকার। কিন্তু ইতিমধ্যেই লক্ষদ্বীপের নিম্ন আদালতের সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে কেরল হাই কোর্ট। শুধু জেলযাত্রা আটকানো নয়, দোষী ঘোষণার উপরেও ছিল সেই স্থগিতাদেশ। পাশাপাশি, তাঁর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লোকসভা সচিবালয়কে নির্দেশ দেয় কেরল হাই কোর্ট। ফলে সাংসদ পদ ফিরে পেতে চলেছেন ফয়জল (যদিও ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ কেরল হাই কোর্টের ওই নির্দেশের পরেও এখনও পর্যন্ত ফরজলকে সাংসদ পদে ফেরানো হয়নি)। যে কারণেই লক্ষদ্বীপের সাংসদ পদ শূন্য।
রাহুল ২০০৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত অমেঠীর সংসদ ছিলেন। কিন্তু ২০১৯ সালে তিনি বিজেপি সাংসদ স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান। এর পর তিনি ওয়েনাড় কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং ওই আসনে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন।