রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র
লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসন নিয়ে নিত্য নতুন প্রশ্ন তুলে রোজই মোদী সরকারকে বিঁধছেন রাহুল গাঁধী। মঙ্গলবার ভিন্ন চমক দিলেন। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা তাঁর বাবা রাজীব গাঁধীর তোলা প্যাংগং লেকের একটি ছবিকে এ দিন হাতিয়ার করেছেন রাহুল। সেই ছবি টুইটারে পোস্ট করে তার সঙ্গে নিজের বক্তব্যও জুড়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফের রাহুল প্রশ্ন করেছেন, ‘‘চিন কি ভারতীয় ভূখণ্ড কব্জা করে রেখেছে?’’
চিন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, ‘‘সীমান্ত পেরিয়ে কেউ ঢুকে আসেনি। ভারতের কোনও সেনা চৌকিও অন্য কারও দখলে নেই।’’ কিন্তু মোদীর এই বক্তব্য বিতর্কে ইতি টানতে পারেনি। এ দিন ফের সেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন রাহুল গাঁধী। নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর তোলা প্যাংগং লেকের একটি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। রাহুল লিখেছেন, ‘‘চিনা আক্রমণের বিরুদ্ধে আমরা একজোট। চিন কি ভারতীয় ভূখণ্ড কব্জা করে রেখেছে?’’
चीनी आक्रमण के ख़िलाफ़ हम एकजुट खड़े हैं।
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) June 23, 2020
क्या भारतीय ज़मीन पर चीन ने कब्ज़ा किया है? pic.twitter.com/YCEd0P20aU
চিনের সঙ্গে সীমান্ত সঙ্ঘাত চরম আকার নেওয়ার পর থেকেই, গালওয়ান উপত্যকায় চিনা আগ্রাসন নিয়ে মোদী সরকারের দিকে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। আর বিরোধীদের সেই তালিকায় সর্বাগ্রে রয়েছে কংগ্রেস। ঘুরে ফিরে রাহুলের এই প্রশ্নটিকেই হাতিয়ার করছে তারা। গালওয়ানের ঘটনা নিয়ে টুইটে রোজই একের পর এক প্রশ্ন তুলছেন রাহুল গাঁধী। সর্বদল বৈঠকেও এই একই প্রশ্ন তুলেছিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তিকালীন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী।
আরও পড়ুন: ‘নিহত কত, তাঁদের দেহ কোথায়?’ দেশে নাগরিকদের তোপের মুখে চিন
এ দিন সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, কোর কমান্ডার স্তরের লম্বা বৈঠকে লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা পিছনোর বিষয়ে ‘পারস্পরিক ঐকমত্যে’ এসেছে ভারত ও চিন সেনা। সেনার একটি সূত্র বলছে, ‘‘পূর্ব লাদাখের চুসুল লাগোয় মলডো অঞ্চলে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।’’ সেনার দাবি, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সঙ্ঘাতের ক্ষেত্রগুলি থেকে সেনা পিছোনোর বিষয়ে আলোচনায় সম্মতি দিয়েছে চিন।
আরও পড়ুন: সেনা পিছোতে রাজি চিন, কোর কমান্ডার বৈঠকে ‘পারস্পরিক ঐকমত্য’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy