প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপি নেতাদের ‘বিজ্ঞান চেতনা’ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র
হাওয়াকল কি বাতাস থেকে অক্সিজেন আলাদা করে ফেলতে পারে! তার পরে সেই অক্সিজেন সিলিন্ডারে ভরে বাজারে বেচাও যায়? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশ্বাস, এমন হতেই পারে। শুধু তাই নয়, ডেনমার্কের এক শিল্পপতিকে সে কথা বলেওছেন তিনি। তার পরেই হই হই। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী বলে দেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কিছুই বোঝেন না। কিন্তু সেটা আসল বিপদ নয়। বিপদটা হল, প্রধানমন্ত্রী যে কিছু বোঝেন না, তাঁর আশেপাশের লোকেদের কারও সেটা বলার সাহস নেই।’’
প্রধানমন্ত্রীকে রাহুলের এই কটাক্ষ ঘিরে দিনভর রাজধানীতে রাজনৈতিক কলহ চলল। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের ‘বিজ্ঞান চেতনা’ নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠল।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, গণেশ ও মহাভারতের কর্ণের কথা শুনলেই বোঝা যায়, ভারতে প্লাস্টিক সার্জারি ও জিন প্রযুক্তি ছিল। নোংরা নর্দমার উপর গামলা বসিয়ে, তা থেকে পাইপের মাধ্যমে গ্যাস নিয়ে এসে উনুন জ্বালানো এক চা-ওয়ালার গল্পও শুনিয়েছেন তিনি। আবার বালাকোটে বায়ুসেনার হানার পরে তিনি বলেছিলেন, সে দিন আকাশে মেঘ, বৃষ্টির সুযোগ নিয়ে রেডারের নজরদারি এড়ানো সম্ভব বলে তিনি বুদ্ধি দিয়েছিলেন। এ বারের মন্তব্য ডেনমার্কের শিল্পপতিদের সঙ্গে সাম্প্রতিক ভার্চুয়াল আলাপচারিতায়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী ডেনমার্কের হাওয়াকল নির্মাতা সংস্থা ভেসটাস-এর প্রধান হেনরিক অ্যান্ডারসেনকে বলেন, ‘‘হাওয়াকল যদি বিদ্যুৎ তৈরির সঙ্গে বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প টেনে নিয়ে জল তৈরি করতে পারে, তা হলে উপকূলবর্তী এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মিটতে পারে।’’ তার পরেই বলেন, ‘‘ওই হাওয়াকল দিয়েই আমরা বাতাস থেকে অক্সিজেনকে আলাদা করে ফেলতে পারি। তা করা গেলে, সেই অক্সিজেন বাজারে বেচাও যাবে। একই হাওয়াকল পানীয় দল, অক্সিজেন, বিদ্যুৎ জোগাবে। আপনাদের বিজ্ঞানীরা এমন কিছু আবিষ্কার করতে পারেন না?”
আরও পড়ুন: লালু জেলেই, নেই প্রচারে, উদ্বিগ্ন আরজেডি শিবির
রাহুলের কটাক্ষের পরেই আসরে নামে মোদীর মন্ত্রীরা। বিদ্যুৎমন্ত্রী রাজ কুমার সিংহ থেকে বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি পাল্টা বলেছেন, আসলে রাহুলই কিছু জানেন না। হাওয়াকল বাতাসের জলীয় বাষ্প টেনে তা জলে পরিণত করতে পারে। দেশীয় অনেক সংস্থার কাছেই এমন প্রযুক্তি রয়েছে।
কিন্তু হাওয়াকল কি বাতাস থেকে অক্সিজেন আলাদা করতে পারে? বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা মুখ খোলেননি। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে ডেনমার্কের শিল্পপতি বলেছিলেন, ‘‘আপনি ডেনমার্কে আসুন। আপনার কথায় আমার মুখে হাসি ফুটল। আপনি আমাদের ইঞ্জিনিয়ারদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবেন।” রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের যুক্তি, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর আইডিয়ার তো ডেনমার্কের সিইও-ই প্রশংসা করেছেন। আসলে রাহুল গাঁধীর আশেপাশের লোকেদেরই বলার সাহস নেই যে তিনি কিছু বোঝেন না।’’ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, এ কথা যিনি বলছেন, তিনি আবার নিউটন, আইনস্টাইনের ফারাক করতে পারেন না। কারণ, পীযূষ বলেছিলেন, মাধ্যাকর্ষণ আইনস্টাইনের আবিষ্কার। কংগ্রেস নেতাদের মন্তব্য, যেমন প্রধানমন্ত্রী, তেমনই তাঁর নেতা-মন্ত্রী!
আরও পড়ুন: মোদী কাঁধে হাত দিতেই চোখে জল চিরাগের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy