—ফাইল চিত্র।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বিবাদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের রাহুল গান্ধী ‘চিনের জমি দখল’ নিয়ে মোদী সরকারকে নিশানা করলেন। এ বার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পটভূমি কার্গিলে দাঁড়িয়ে। জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের অস্ত্র দিয়েই বিজেপির জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। অভিযোগ করলেন, লাদাখের জমি আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
আজ রাহুল গান্ধী কার্গিলে অভিযোগ তুলেছেন, “চিন ভারতের জমি নিয়ে নিয়েছে। এই কথা একদম স্পষ্ট। ভারতের হাজার হাজার কিলোমিটার জমি চিন আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। দুঃখের কথা হল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের বৈঠকে বলেছেন যে ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেউ ছিনিয়ে নেয়নি। এটা পুরোপুরি মিথ্যে।” লাদাখ সফরের গোড়ার দিকে প্যাংগং হ্রদে গিয়ে রাহুল গান্ধী অভিযোগ তুলেছিলেন, ইতিমধ্যেই লাদাখের জমি চিন ছিনিয়ে নিয়েছে অথচ প্রধানমন্ত্রী তা অস্বীকার করে চলেছেন। তাঁর ইঙ্গিত ছিল গলওয়ানে ভারতের সঙ্গে চিনের সেনার সংঘর্ষের পরে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের দিকে।
ওই বৈঠকে মোদী বলেছিলেন, ভারতের মাটিতে কেউ ঢোকেনি, কেউ ঢুকে বসে নেই, কেউ ভারতের সেনা চৌকিও দখল করে নেই। আজ রাহুল কার্গিলে জনসভায় বলেছেন, “লাদাখের প্রতিটি বাসিন্দা জানেন যে লাদাখের জমি চিন ভারতের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী সত্যি কথা বলছেন না।” কার্গিলের যুদ্ধে স্থানীয়দের ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়ে কার্গিল যুদ্ধ স্মারকেও শ্রদ্ধা জানাতে যান রাহুল।
জম্মু-কাশ্মীরের ৩৭০ রদের সঙ্গে রাজ্য ভেঙে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ তৈরি হয়। রাহুল আজ অভিযোগ করেন, লাদাখের মানুষের জন প্রতিনিধিত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জন প্রতিনিধিত্ব থাকলে স্থানীয় মানুষের জমি কেড়ে নেওয়া যেত না। বিজেপি লাদাখের জমি নিয়ে তা আদানির বড় বড় প্রকল্পের জন্য কাজে লাগাতে চায়। সেই প্রকল্পের ফায়দাও লাদাখের মানুষকে দিতে চায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy