রাহুল গান্ধী। ফাইল চিত্র।
আপাতত মায়ের সঙ্গে। তার পরে হয়তো অন্য কোথাও। গত প্রায় দু’দশক ধরে রাহুল গান্ধীর ঠিকানা ছিল দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো। শুক্রবার সেই বাংলো থেকে নিজের জিনিসপত্র সরানোর কাজ শুরু করে দিলেন রাহুল গান্ধী। মানহানির ফৌজদারি মামলায় তাঁর দু’বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে দায়রা আদালত কী রায় দেবে, তার অপেক্ষা না করেই।
শুক্রবার থেকে রাহুল গান্ধীর জিনিসপত্র তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো থেকে দশ জনপথে সনিয়া গান্ধীর বাংলোয় সরানো শুরু হয়েছে। দু’টি ট্রাকে করে বাক্সবন্দি জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ‘সব চোরেদের পদবি মোদী কেন’ মন্তব্যের জেরে মানহানির অপরাধে সুরাতের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণার পরেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল। একই সঙ্গে সাংসদ হিসেবে পাওয়া সরকারি বাংলো এক মাসের মধ্যে ছাড়ার নোটিসও পৌঁছে গিয়েছিল। রাহুলও জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বাংলো ছেড়ে দেবেন।
কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতে করা মামলায় রায় ২০ এপ্রিল ঘোষণা হবে। ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি বাংলো ছাড়ার সময় রয়েছে। রাহুল ২০ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছেন না। রাহুলের অবস্থান হল, দায়রা আদালত বা গুজরাত হাই কোর্ট তাঁর শাস্তিতে স্থগিতাদেশ দিলে যদি তাঁর সাংসদ পদ ফিরে আসে, সে ক্ষেত্রে কী করা হবে, তখন দেখা যাবে। রাহুল নিজেই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সময় বলেছিলেন, তাঁর নিজস্ব কোনও বাড়ি নেই। এর আগে এসপিজি নিরাপত্তা উঠে যাওয়ার পরে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাও লোদী রোডে সরকারি বাংলো খালি করে সরে গিয়েছিলেন।
রাহুলের সাংসদ পদ খারিজকে কংগ্রেস প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে প্রচার করলেও তাঁর বাংলো খালি করা নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের আবেগ উস্কে দেওয়ার জন্য রাস্তায় নামানো হয়নি। শুধু মুখপাত্র পবন খেরা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজ়াদকে কটাক্ষ করেছেন। রাজ্যসভার মেয়াদ দু’বছর আগে ফুরোলেও নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়া আজ়াদ এখনও সরকারি বাংলোতেই রয়েছেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy