তৃতীয়বার মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বেকারত্বের সমস্যার সমাধানে শিল্পমহলকে কর্মী নিয়োগে উৎসাহ দিতে ‘এমপ্লয়মেন্ট লিঙ্কড ইনসেন্টিভ’ প্রকল্প চালু করেছিল। আজ লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ তুললেন, মোদী সরকার ইতিমধ্যেই সেই প্রকল্প থেকে সরে এসেছে। প্রকল্পের মাপকাঠিই এখনও ঠিক হয়নি। ফলে এই কর্মসংস্থান প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ১০ হাজার কোটি টাকা আবার রাজকোষে ফিরে এসেছে।
বেকারত্বের সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আজ রাহুল গান্ধী তাঁকে তিনটি প্রশ্ন করেছেন। রাহুলের অভিযোগ, ২০২৪-এর ভোটের পরে ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘এমপ্লয়মেন্ট লিঙ্কড ইনসেন্টিভ’ প্রকল্প চালু করলেও তারপরে এক বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের মাপকাঠি ঠিক হয়নি। ফলে বরাদ্দ অর্থ আবার রাজকোষে ফিরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রীকে রাহুলের প্রশ্ন, ‘এই প্রকল্পের ১০ হাজার কোটি টাকা কোথায় উধাও হয়ে গেল? আপনার প্রতিশ্রুতির সঙ্গে কি বেকার যুবকদের কথাও আপনি ভুলে গিয়েছেন? আপনি নিত্যদিন নতুন স্লোগান তৈরি করছেন। তরুণরা কাজের সন্ধান করছেন। তরুণদের প্রয়োজন মতো চাকরি তৈরির করার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা কোথায়? না কি এই প্রকল্পও আর একটি জুমলা?’ রাহুল গান্ধীর যুক্তি, বড় বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে সুবিধা পাইয়ে দিয়ে চাকরি তৈরি করা যাবে না। অথবা মুনাফাখোর শিল্পপতিদের বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দিয়েও লাভ হবে না। ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প ও চিরাচরিত দক্ষতার দিকে নজর দিতে হবে। উৎপাদনের বদলে বাইরে থেকে যন্ত্রাংশ নিয়ে এসে দেশের কারখানায় শুধু তা জুড়ে দিয়ে পণ্য তৈরি করলে কোনও লাভ হবে না।
রাহুলের এই নিশানার পরে বিজেপি পাল্টা অভিযোগ তুলেছে, কংগ্রেস নেতা দেশের তরুণদের বিভ্রান্ত করতে চাইছেন। হয়ত তাঁর লোকেরা তাঁকে ভুল বুঝিয়েছেন। না হলে তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে তথ্য বিকৃত করছেন। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়ের দাবি, মোদী সরকারের আমলে প্রথম দশ বছরে ১৭.১৯ কোটি কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। যেখানে ইউপিএ-র দশ বছরে মাত্র ২.৯ কোটি চাকরি তৈরি হয়েছিল।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)