দিল্লি-হরিয়ানার সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষকদের জমায়েত। ছবি-পিটিআই
মাস খানেক আগে দু’দিনের পঞ্জাব সফরে প্রতিবাদী চাষিদের সামনে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আগুনে বক্তৃতা দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রে ফের কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে, ওই আইন বাতিল করবেন তাঁরা। আর শনিবার যখন যাবতীয় পুলিশি প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে পঞ্জাব-সহ বিভিন্ন রাজ্যের চাষিরা রাজধানীর দরজায়, তখন কি না সারা দিনে সমর্থন বলতে সাকুল্যে দু’টি টুইট!
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এমন প্রবল ক্ষোভের ‘সোনার সুযোগ’ রাহুল হেলায় হারাচ্ছেন কি না, আজ সেই প্রশ্ন তাই ঘুরপাক খেল রাজধানীর রাজনীতিতে। কংগ্রেস সূত্রে অবশ্য দাবি, কৃষক বিক্ষোভের এই কর্মসূচি তাদের নয়। এই আন্দোলনে কোনও রাজনৈতিক রং লাগুক, তা চান না কৃষক নেতারাও। তাই কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবির এই প্রতিবাদ এবং দিল্লিমুখী মিছিলকে স্বাগত জানালেও, সরাসরি তাতে যোগ দেয়নি। বরং সচেতন ভাবেই দূরত্ব বজায় রেখেছে কিছুটা।
শতাব্দীপ্রাচীন দল এ কথা বললেও, অনেকের প্রশ্ন, গতকালই তো কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র তথা রাহুলের বিশ্বাসভাজন রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। তা হলে গত দু’মাস ধরে কেন্দ্রীয় সরকার-বিরোধী এমন প্রবল ক্ষোভ দানা বাঁধছে দেখেও, কেন এখন এক বারও চাষিদের মধ্যে রাহুল কিংবা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরার উপস্থিত হওয়ার প্রস্তাব পাঠাল না কংগ্রেস? অনেকের অভিযোগ, এর মধ্যে রাহুল-প্রিয়ঙ্কার ‘এই আছি-এই নেই’ রাজনীতির ছাপ স্পষ্ট। উত্তরপ্রদেশে হাথরস-কাণ্ডের পরে সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন ভাই-বোনের জুটি। একদিনই। অথচ ওই রাজ্যের উপনির্বাচনে আর প্রচারে যাননি তাঁরা।
প্রবল শীতে ট্রাক্টরের ট্রলিতেই বিশ্রাম নিচ্ছেন অনেকে। শনিবার। পিটিআই
বিহারে মাটি নড়বড়ে জেনেও দু’জনে সভা করেছেন অনেক কম। বিজেপি যেখানে হায়দরাবাদের স্থানীয় ভোটে জেতার লক্ষ্যেও প্রায় সর্বশক্তিতে ঝাঁপাচ্ছে, সেখানে এই গা-ছাড়া ভাব নিয়ে কংগ্রেস কী করে সারা ভারতে তাদের সঙ্গে টেক্কা দেবে, সেই প্রশ্ন তাই উঠছে বার বার। অনেকের জিজ্ঞাসা, কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজ়াদের মতো দলের প্রবীণ নেতারা মুখ খোলার পরেও কি তবে হুঁশ ফিরছে না কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের?
কংগ্রেস সূত্রে অবশ্য দাবি, এই মুহূর্তে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে গোয়ায় রয়েছেন রাহুল। তাই চাষিদের বিক্ষোভে হাজির হওয়া এমনিতেও সম্ভব নয়। তবে এ বিষয়ে নিজেদের মতো করে যে প্রতিবাদ ও কর্মসূচি কংগ্রেস চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে প্রতি দিন নিয়ম করে নজর রাখছেন রাহুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy