হরিয়ানার সোনীপত জেলার গ্রামের মাঠে কৃষকদের সঙ্গে বীজ বপন রাহুল গান্ধীর। শনিবার। ছবি: ফেসবুক।
বার বার তিনি বলছেন ঘৃণা নয়, ভালবাসার দোকান খুলতে আগ্রহী। পুরনো দিল্লিতে গিয়ে ‘মহব্বত কা শরবত’ পান করেছিলেন। রাজনৈতিক শিবির বলছে, আজ হরিয়ানার এক সবুজ ধানখেতে রাহুল গান্ধী যুক্ত হলেন ‘মহব্বত কি খেতি’র সঙ্গে। পরে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে রাহুল লেখেন, ‘‘সমস্ত মরসুমে পরিশ্রম, সমস্ত পরিস্থিতিতে নিজেদের কর্তব্য পালন করেন তাঁরা। দেশের অন্নদাতারা প্রতিনিয়ত ভারতকে জোড়েন। কৃষকেরা ভারতের আত্মসম্মান।’’
এ দিন দিল্লি থেকে শিমলা যাচ্ছিলেন রাহুল গান্ধী। যাত্রার মাঝপথেই হরিয়ানার সোনীপত জেলার গ্রামের মাঠে নেমে বীজ বপন করলেন তিনি। এক হাঁটু কাদা-মাটি-জলে মিশে গেলেন সকলের সঙ্গে। চালালেন ট্র্যাক্টরও। কথা বললেন কৃষকদের সঙ্গে। শুনলেন তাঁদের সুখ-দুঃখের কথা। স্বাভাবিক ভাবেই বিস্মিত কৃষকেরা। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, “ভারত জোড়ো যাত্রার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল কৃষক এবং তাঁদের পরিবারের উন্নয়ন। রাহুল গান্ধীর মাথায় এটা সব সময়েই রয়েছে। আজ সকালে তিনি কৃষকদের সঙ্গে অনেকটাই সময় কাটালেন সোনীপত জেলার গোহানার কাছে।”
সঞ্জয় কুমার নামে এক কৃষক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ে বললেন, ”প্রথমে তো খেতে যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁরা রাহুল গান্ধীকে চিনতেই পারেননি। তাঁকে দেখে তো সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমরা ওকে প্রাতঃরাশ পরিবেশন করেছি। উনি আমাদের সমস্যার কথা শুনেছেন। ট্র্যাক্টরও চালিয়েছেন।”
এমনটা রাজীব গান্ধীর পুত্র এই প্রথম করেছেন তা নয়। এর আগে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে নৌকায় উঠে জাল ফেলতেও দেখা গিয়েছিল রাহুলকে। পরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘মৎস্যজীবীদের সঙ্গে অনেক কথা হল। খালি জাল ফেরত আসার কষ্ট কেমন হয়, তা-ও টের পেলাম।’’ কিছু দিন আগেই দিল্লির কারোলবাগে গাড়ির মিস্ত্রি ও পার্টস বিক্রেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তিনি। এমন হঠাৎ করেই সোজা গ্যারাজের মধ্যে গিয়ে কথা বলেন মিস্ত্রিদের সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy