লোকসভায় চলছে অনাস্থা বিতর্ক। বক্তৃতা করছেন অমিত শাহ। বুধবার। ছবি : সংগৃহীত।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভার অধিবেশন। শান্তি প্রস্তাব প্রসঙ্গে বিরোধীরা বলেছিলেন, জবাব দেওয়ার কথা রাজার, জবাব দিচ্ছেন কোতোয়াল। একই সঙ্গে তাঁরা বলেন, তাঁরা ওই শান্তি প্রস্তাবের খসড়াও দেখতে চান। কিন্তু এর পরেই অধিবেশন মুলতুবি করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
মণিপুরে শান্তি ফেরাতে শান্তি প্রস্তাবের কথা বললেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘‘মণিপুরে যে অশান্তি হচ্ছে, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। আমি নিজে সেখানে গিয়েছি। তিন দিন থেকে পরিস্থিতি দেখেছি। এই প্রথম কোনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেলেন ওখানে। আপনাদের আরও একটা কথা জানাতে চাই, ৩ জুন এবং ৪ জুন রাতে যে দিন মণিপুরে অশান্তি বড় আকার নিয়েছিল, সেই দু’দিনই প্রধানমন্ত্রী মোদী ভোরবেলায় ঘুম ভাঙিয়েছিলেন আমার। এখনও আমি নিয়মিত মণিপুরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করছি। গোটা পরিস্থিতির উপর আমাদের নজর রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে রাজনীতি করাকে সমর্থন করি না। মণিপুরের ঘটনা সমাজের কলঙ্ক। তবে তা নিয়ে রাজনীতি করা আরও লজ্জার বিষয়। আমি মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য শান্তি প্রস্তাবের আবেদন করছি।’’
ইউপিএ কেন নাম বদলেছে, তার ব্যাখ্যা দিলেন অমিত শাহ। লোকসভায় একরকম স্লোগান দেওয়ার ঢঙে জানালেন কী কী দুর্নীতি হয়েছে ইউপিএ আমলে। তাঁর পিছনে কোরাসে গলা মেলালেন বিজেপি সাংসদেরা। তার পর অমিত বললেন, ‘‘ওঁদের মাথায় ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি রয়েছে। নাম তো বদলাতেই হত। তাই এখন ইউপিএ ‘ইন্ডিয়া’ হয়েছে। মোদী তাই আজ বলেছেন, ‘‘দুর্নীতিবাজেরা ভারত ছাড়ো। তোষণকারীরা ভারত ছাড়ো। পরিবারতন্ত্রের পূজারীরা ভারত ছাড়ো।’’
অমিত শাহ বলছিলেন, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়েছে জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বে। কিন্তু বিজেপি কখনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোড়েনি। এর জবাবে বিরোধীরা আপত্তি তুললে এবং গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ উঠতেই অমিত শাহ বললেন, ‘‘আসলে এঁরা শান্তি চান না। এঁরা এখনই ওয়াক আউট করবেন।’’
মণিপুরে যা হয়েছে, তাকে সমাজের কলঙ্ক বলে মন্তব্য করলেন শাহ। তবে একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘যাঁরা ওই ভিডিয়ো করেছিলেন বা যাঁরা ওই ভিডিয়ো হাতে পেয়েছিলেন, তাঁরা ওই ভিডিয়ো পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলেন কেন?’’ শাহ বললেন, ‘‘যদি রেকর্ড দেখেন তাহলে জানতে পারবেন, ওই ভিডিয়ো হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ পদক্ষেপ করেছিল। কিন্তু তা না করে সংসদে বাদল অধিবেশনের আগের দিনই ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হল কী করে?’’
‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তখন বদলানো হয়, যখন তিনি সহযোগিতা করেন না’’—মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহকে সরানোর দাবি নিয়ে সংসদে মন্তব্য করলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সহযোগিতা না করলে, তাঁকে সরানো যেতে পারে। কিন্তু মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী সহযোগিতা করেছেন।’’ মণিপুরে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তারও হিসাব দিলেন শাহ। বললেন, ‘‘মণিপুরে হিংসায় এখনও পর্যন্ত ১৫২ জন মারা গিয়েছেন।’’
‘‘গত ৯ বছরে মোদী ৫০ বার উত্তর-পূর্ব ভারতে গিয়েছেন, এঁরা মণিপুর নিয়ে জবাব চাইছেন। এঁরা উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য কী করেছে? আমাকে এক জন প্রধানমন্ত্রী দেখান তো যিনি ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকার পরও এত বার উত্তর-পূর্ব ভারতে গিয়েছেন? মণিপুরের হিংসা খুব লজ্জার, কিন্তু মণিপুর নিয়ে রাজনীতি আরও লজ্জার’’, বিরোধীদের নিশানা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের। তিনি বললেন, ‘‘এই অনাস্থা প্রস্তাব ব্যর্থ হবে, মোদী সরকার আবার ক্ষমতায় আসবে, কারণ মোদী সরকারের উপর আপনাদের আস্থা না থাকতে পারে, কিন্তু জনতার আস্থা আছে।’’
অমিত শাহের বক্তৃতার মধ্যেই কথা বলছিলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। অমিত বললেন, ‘‘আপনাকে আমি আমার বলার সময় থেকে ৩০ মিনিট দেব। যাতে আপনি বলতে পারেন। কিন্তু আপাতত বসে যান।’’ অধীরকে শাহ বললেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি আপনার দল আপনাকে বলতে দেয়নি বলেই আপনি এ ভাবে কথার মাঝে কথা বলছেন।’’
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সাংসদদের জানালেন আপনাদের অনুমতি পেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তৃতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অধিবেশনের সময় বৃদ্ধি করা হবে।
নাম না করে এক সাংসদকে কটাক্ষ করলেন শাহ। বললেন, ‘‘এই লোকসভায় এমন সাংসদও আছেন যাঁকে ১৩ বার রাজনৈতিক ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু প্রতি বারই তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। ওই সাংসদ বুন্দেলখণ্ডের এক দরিদ্র মহিলার বাড়িতে গেলেন। সেই মহিলার নাম কলাবতী। সাংসদ তাঁর বাড়িতে খেলেন। তার পর সংসদে এসে তাঁর দুরবস্থার কথা তুলে ধরলেন। কিন্তু তার পর জানেন কী হল? এই ঘটনার পর আরও চার বছর তাঁর সরকার ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু কলাবতীর কোনও উন্নতি হয়নি। সেই কলাবতীকে পাকা বাড়ি, শৌচালয়, কম মূল্যে রান্নার গ্যাস আর বিনা পয়সায় রেশন কারা দিয়েছে শুনবেন? মোদী সরকার দিয়েছেন। আর অদ্ভুত ভাবে সে দিন ওই সাংসদ যে কলাবতীর দুঃখের কথা বলেছিলেন, সেই কলাবতী এখন এই মোদী সরকারকেই সমর্থন করেন।’’
পরিসংখ্যান বড় নির্লজ্জ, সংখ্যা কারও পক্ষে বলে না, কারও কথা শোনে না, শুধু নিজের কথা বলে, বললেন শাহ। সাত বছরে ৭৬৮ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল ইউপিএ সরকার। একই সময়ে অর্থাৎ সাত বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করেছে।
সমগ্র বিশ্বের সামনে ভারতের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বললেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘‘আমরা কৃষকদের স্বনির্ভর করেছি। ওঁদের ঋণ মাফ করিনি, ওঁদের যাতে আর ঋণ নিতেই না হয়, সেই ব্যবস্থা করেছে এই সরকার।’’ মনমোহন সরকার যে পরিমাণ ধান-গম কিনত তার দ্বিগুণেরও বেশি ধান-গম কিনেছে এই মোদী সরকার। আর আগের সরকার যে দাম দিয়ে ধান-গম কিনেছে, তার থেকে অনেক বেশি দাম দিয়ে কৃষকদের থেকে ধান এবং গম কিনেছে সরকার। অর্থাৎ আমরা কৃষকদের থেকে বেশি শস্য কিনেছি, বেশি দাম দিয়েও কিনেছি।
অমিত শাহ বলছেন, ‘‘বিরোধীরা এই সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে এই সরকারের সঙ্গে আগের সরকারের তফাত কতটা। কৃষকদের ঋণমুক্ত করা থেকে শুরু করে দরিদ্রদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া এমনকি, তাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার কাজও করে এই সরকার। কমিশন ছাড়া আগের সরকার কিছু করেনি। এই সরকার সরাসরি জনতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছে। ওরা বলে, এই প্রকল্প কারা এনেছিল, ওই উদ্যোগ কারা নিয়েছিল। আমার বক্তব্য, ঠিকই বলেছেন। আপনারা শুধু বলেছেন। আমরা কাজে করে দেখিয়েছি। ওদের কথায় এবং কাজে ফারাক ছিল। আমাদের নেই।’’
শাহ বললেন, ‘‘বিরোধীরা ‘গরিবি হটাও’ স্লোগান দিয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু করেনি। তার কারণ ওঁদের কখনওই কাজ করার উদ্দেশ্য ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা কুক্ষিগত করা। সেই ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ওরা দুর্নীতি করেছে। আর মোদী সরকার এসে দেশ থেকে দারিদ্র দূর করার কাজ করেছেন। ওরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিল, তা পূরণ করেছে। তার কারণ বিজেপি এবং এনডিএ নীতিতে বিশ্বাস করে। তারা নীতির জন্য রাজনীতি করে। রাজনীতির ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দুর্নীতি করে না। প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজে ছুটি না নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৭ ঘণ্টাই কাজ করেন।’’
জনতার মধ্যে ভ্রান্তি তৈরির জন্যই বিরোধীরা এই অনাস্থার প্রস্তাব আনতে চাইছে, বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সরকারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই আনতে পারেননি বিরোধীরা।’’
লোকসভায় অনাস্থা বিতর্কে কথা বলছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুপ্রিয়া সিংহ প্যাটেল। বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, বিজেপি সাংসদ বা মন্ত্রীরা বলার সময় লোকসভা টিভির ক্যামেরা বক্তার উপর স্থির থাকছে। অথচ বিরোধীরা যখন বলতে উঠছেন, তখন ক্যামেরা ঘুরে যাচ্ছে বক্তার দিক থেকে। তখন সংসদ ভবনের অন্যত্র ঘোরাফেরা করছে লোকসভা টিভির দৃশ্য।
ফারুক আবদুল্লা বললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কখনও একটি রঙের প্রতিনিধি হতে পারেন না। তিনি গোটা দেশের সমস্ত রঙের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেটা উনি ভুললে চলবে না। কাশ্মীর পণ্ডিতদের উপর অত্যাচারের কথা বলছেন ওঁরা। কিন্তু গত দশ বছরে কতজন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ফেরত এনেছে?’’ বিরোধীরা ফারুকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। ফারুক বলেন, ‘‘হিংসা ছেড়ে প্রেমের কথা বলুন। জি২০ সম্মেলনের অতিথিদের কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরে শান্তি এনেছে বলে দাবি করেছেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন, ওই অতিথিদের কাশ্মীরের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা গুলমার্গে নিয়ে যেতে পারবে না মোদী সরকার? তার কারণ কেন্দ্র যতই শান্তির কথা বলুক, আসলে এখনও শান্ত হয়নি কাশ্মীর।’’
বিজেপি সাংসদ ড. হিনা বিজয়কুমার গাবিট বললেন, তিনি আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি এবং তাঁর মতে মোদী সরকার দেশের আদিবাসী সমাজের জন্য গত ১০ বছরে যা যা করেছেন, তা ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত হয়নি। কেন্দ্রে যখন ইউপিএ সরকারকে আবাস যোজনা নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ওটা ছিল কংগ্রেস আবাস যোজনা। কিন্তু মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি বঞ্চিতদের তালিকা তৈরি করে তাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় মাথার উপর ছাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এমনকি, পরিসংখ্যান দিয়ে হিনা জানান, প্রায় ৮০ শতাংশ বাড়ি তৈরিও হয়েছে। তাঁর দাবি, ইউপিএ সরকারের বরাদ্দের অনেক বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে শিশুদের বিকাশ প্রকল্পে।
মণিপুর নিয়ে সরকার বিরোধীদের কথা শুনতে রাজি নয়— এই অভিযোগ এনে প্রতিবাদে রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করল কংগ্রেস। রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মণিপুর নিয়ে বিশদ আলোচনা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংসদে আসতে রাজি নন। সরকার বিরোধীদের কথা শুনতে রাজি নয়। তাই প্রতিবাদ হিসাবে আমরা রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করছি।’’
মহাভারতের প্রসঙ্গ টেনে কাকলির সুরেই কেন্দ্রকে আক্রমণ ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝির। মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো এবং তাঁদের সামনে পরিবারের সদস্যকে হত্যা করার ঘটনার বর্ণনা করলেন করুণানিধি-কন্যা। তিনি বললেন, ‘‘মণিপুরের বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার চলছে। কিন্তু সেখানে মহিলাদের বিরুদ্ধে তবে কেন এমন অত্যাচার চলছে। কেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী যাননি নির্যাতিতদের সঙ্গে দেখা করতে? কেন প্রধানমন্ত্রী যাননি তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে। কেন সে রাজ্যের পুলিশ ওই ঘটনার নীরব দর্শক হয়ে ছিল? কেন পুলিশ ওই মহিলাদের উন্মত্ত জনতার হাতে তুলে দিয়েছিল? কেন দুই নির্যাতিতা বার বার জবাব চেয়েও জানতে পারেননি, কেন ওই পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না। মহাভারতে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সময় যাঁরা নীরব দর্শক হয়েছিলেন, তাঁদেরও শাস্তি পেতে হয়েছিল। তবে কি ওই পুলিশকর্তাদের শাস্তি হবে না? দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মণিপুরে গিয়ে কি মোদী এক বার বলতে পারেন না, ‘আপনারা চিন্তা করবেন না, সুবিচার হবে!’ এটুকু কি আশা করা যায় না তাঁর থেকে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy