Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Rahul Gandhi

ভয় না পেয়ে মুখ খুলুন, চিন নিয়ে খোঁচা রাহুলের

লাদাখে চিনা আগ্রাসনের সময় থেকেই রাহুল তথা কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, আগ্রাসনের স্বরূপ দেশবাসীকে জানাতে চাইছে না মোদী সরকার।

ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৪৮
Share: Save:

‘ভয় না পেয়ে’ নরেন্দ্র মোদী সরকারকে চিন নিয়ে মুখ খুলতে বললেন রাহুল গাঁধী। অন্য দিকে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্ত সমস্যাকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক অগ্রগতির সঙ্গে জড়িয়ে ফেলা হবে না।

আজ হিন্দি সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট টুইট করেন রাহুল। তাতে বলা হয়েছে, চিন সিকিম সীমান্তে নয়া রাস্তা ও পোস্ট তৈরি করছে। সেইসঙ্গে হিন্দিতে তিনি লেখেন, ‘‘এত ভয় পাবে না। সাহস করে এ বার চিনের কথা বলুন।’’ লাদাখে চিনা আগ্রাসনের সময় থেকেই রাহুল তথা কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, আগ্রাসনের স্বরূপ দেশবাসীকে জানাতে চাইছে না মোদী সরকার। এমনকী চিনের নাম মুখেও আনছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ সরকারের শীর্ষ কর্তারা।

লাদাখ নিয়ে সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হলেও সমস্যা এখনও মেটেনি। এর মধ্যেই জানুয়ারি মাসে সিকিম সীমান্তের নাকু লা-য় চিনা সেনার সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের কথা সামনে আসে। সেনা জানায়, সেটা ‘ছোট ঘটনা’। স্থানীয় কমান্ডারেরা প্রোটোকল মেনে সমস্যা মিটিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার এক সম্মেলনে চিন নিয়ে কিছুটা হতাশার সুর শোনা যায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের গলায়। তিনি বলেন, লাদাখের ঘটনা দেখিয়েছে, চিন সেনা কমানোর প্রতিশ্রুতি মানছে না। বরং তারা শান্তিভঙ্গ করতেও পিছপা নয়। কেন চিন অবস্থান বদলাল ও সীমান্তে সেনা সমাবেশ বাড়াল, তার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

চিন নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক চড়া সুরে কথা বললেও দীর্ঘদিন ধরে সুর তেমন চড়ায়নি বিদেশ মন্ত্রক। কূটনীতিকদের মতে, দফায় দফায় আলোচনার পরেও চিনের অবস্থানে পরিবর্তন না আসায় সুর চড়াতে হয়েছে সাউথ ব্লককে। সেইসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘ভারত-চিন সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। এখন দু’দেশ যা সিদ্ধান্ত নেবে গোটা বিশ্বের উপরে তার গভীর প্রভাব পড়বে। পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই কী ভাবে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল রাখা যায় তার শিক্ষা আমরা অতীতে পেয়েছি। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরা এমন পদক্ষেপ করতে পারি যাতে দু’দেশই উপকৃত হবে।’’

আজ জয়শঙ্করের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘‘ওঁর মন্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে ভারত চিনের সঙ্গে সম্পর্ককে কতটা গুরুত্ব দেয়। সীমান্ত সমস্যার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতিকে জড়িয়ে ফেলা হবে না। আমাদের আশা ভারতও সমস্যা মিটিয়ে সম্পর্ককে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy