ঝালওয়ারে বিজেপির দফতরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হাত নাড়লেন রাহুল গান্ধী। ছবি: টুইটার।
দেশকে জুড়তে পদযাত্রায় বেরিয়েছেন। তাই প্রবল প্রতিপক্ষকে দেখেও দাঁত-নখ বার করেননি রাহুল গান্ধী। বরং আবেগ, ভালবাসা ছড়িয়ে দিলেন। মঙ্গলবার সকালে ঝালওয়ারে বিজেপির দফতরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হাত নাড়লেন, চুমু ছুড়লেন কংগ্রেস সাংসদ। দফতরে দাঁড়িয়ে পাল্টা হাত নাড়লেন বিজেপি কর্মীরাও।
মঙ্গলবার সকাল ৭টার কিছু আগে ঝালওয়ারে জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিল রাহুলের পদযাত্রা। কোটার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সে সময়ই রাস্তার ধারে চোখে পড়ে আলো ঝলমলে বাড়িটি। বাড়ির গায়ে ব্যানারে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপি নেতাদের মুখ। তার ছাদে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক জন। তাঁদের দিকেই হাত নাড়েন রাহুল। চুমু ছোড়েন। সঙ্গীদেরও তা করতে বলেন। রাহুলের পাশে হাঁটছিলেন সচিন পাইলট, রাজস্থানের মন্ত্রী রামলাল জাট। তাঁরাও নেতাকে অনুসরণ করে হাত নাড়েন।
When Modi ..Modi ..slogged
— Dr J Aslam Basha (@JAslamBasha) December 6, 2022
Our leader Rahul Gandhi, blew a kiss and responded with love.
This is for #BharatJodaYatra pic.twitter.com/yQtVWOFzYd
জানা গিয়েছে, ঝালওয়ারের ওই বাড়িটি বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজের ছেলে, তথা বিজেপি সাংসদ দুষ্মন্ত সিংহের দফতর। বাড়ির বাইরে টাঙানো ব্যানারে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী, বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা, নেত্রী বসুন্ধরা এবং দুষ্মন্তের ছবি। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরার গড় হল এই ঝালওয়ার। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছরের বিধানসভা ভোট মাথায় রেখেই এই শহর দিয়ে পদযাত্রা করলেন রাহুল।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ রাহুলের এই আচরণে রাজনীতি দেখতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘এটাই রাহুলের স্টাইল। এর মধ্যে বেশি কিছু খুঁজতে যাবেন না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যদেরই স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।’’ রমেশ মনে করালেন, যে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘকে তিনি একহাত নেন, তার সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
পরে রাহুল নিজেই সমাজমাধ্যমে এই ব্যবহার নিয়ে লিখেছেন। তিনি লেখেন, ‘‘কোনও বিদ্বেষ নেই, কোনও রাগ নেই, কোনও বিরক্তি নেই— ভারতযাত্রীদের মনে এ সব কিছুই নেই। তাঁদের লক্ষ্য, ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করা, ভারতীয়দের ভোগান্তির প্রতি সহানুভূতি, সব নাগরিকদের ভালবাসা।’’ প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, ২০১৮ সালে সংসদে উঠে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেছিলেন রাহুল। তাতে চমকে গিয়েছিলেন তাঁর নিজের দলের সাংসদরাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy