Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Narendra Modi

Rahul Gandhi-Narendra Modi: দোষ কি নেহরুর, বিদ্যুৎ সঙ্কটে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে খোঁচা রাহুলের

টুইটারে রাহুলের কটাক্ষ, ‘‘মোদীজি, এই বিদ্যুৎ সঙ্কটে আপনার ব্যর্থতার জন্য কাকে দোষারোপ করবেন? নেহরুজিকে, রাজ্যগুলিকে নাকি দেশের জনতাকেই?’’

মোদী সরকারকে একত্রে নিশানা কংগ্রেস নেতাদের।

মোদী সরকারকে একত্রে নিশানা কংগ্রেস নেতাদের। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২২ ০৬:৩৯
Share: Save:

প্রবল গরমে লাফিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। আর এই সময়েই দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লারৈ যোগান তলানিতে। এই নিয়েই আজ নরেন্দ্র মোদী সরকারকে নিশানা করলেন রাহুল গান্ধী, পি চিদম্বরমের মতো কংগ্রেস নেতারা।

গতকাল দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সর্বোচ্চ— ২০৭ গিগা ওয়াট। তার আগের দিনটিতে বিদ্যুতের চাহিদার অঙ্ক ২০৫ গিগা ওয়াট। অথচ গত বছরের এই সময়ের বিদ্যুতের চাহিদা ছিল তুলনামূলক ভাবে অনেক কম— ১৮২.৫ গিগা ওয়াট। প্রবল দাবদাহে এবছর বিদ্যুতের চাহিদা যখন অনেক বেশি, সেই সময়েই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার যোগানে প্রবল সঙ্কট। সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রিসিটি অথরিটি যে পরিসংখ্যান হাজির করেছে, তাতে ইঙ্গিত, বিদ্যুৎ বিপর্যয় চরম মাত্রা পেতে চলেছে। ওই হিসাব বলছে, ২৭ এপ্রিল ১৭৩টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০৬টিতেই কয়লার যোগানের অভাবে প্রবল সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে। যে কেন্দ্রগুলি দেশের ভিতরের কয়লা সরবরাহের উপরেই নির্ভর করে, তেমন ১৫০ টি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬টিতেই প্রবল সঙ্কট। একই পরিস্থিতি বেসরকারি কেন্দ্রগুলিতেও।
অল ইন্ডিয়া পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার্স ফেডারেশনের চেয়ারম্যান শৈলেন্দ্র দুবে কয়লার সঙ্কটের পিছনে রেল, কয়লা ও শক্তি মন্ত্রকের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রতিটি মন্ত্রক নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলতে ব্যস্ত। আরও খারাপ ব্যাপার হল, কেন্দ্রীয় সরকারের এই মন্ত্রকগুলি এখন বোঝাতে চাইছে, রাজ্যগুলি কয়লা কোম্পানিগুলিকে ঠিক সময়ে টাকা মেটাতে পারেনি বলেই সঙ্কট তৈরি হয়েছে। দুবে জানান, আমদানি করা কয়লার উপর নির্ভরশীল ১৫টি কেন্দ্রের ১২টির অবস্থা খারাপ। আর কেন্দ্রগুলির মধ্যে ১৪টিই রয়েছে বেসরকারি হাতে।’’

কয়লার সঙ্কট দেখা দিয়েছে রাজস্থানের ৭টি রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থার ৬টিতেই। উত্তরপ্রদেশের ৪টির মধ্যে তিনটি, মহারাষ্ট্রের ৭টির মধ্যে ৬টি, মধ্যপ্রদেশের ৪টির ৩টি কেন্দ্রেই কয়লার প্রবল সঙ্কট রয়েছে। এছাড়া, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, কর্নাটক, তামিলনাড়ুর রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতেও সঙ্কট তীব্র হয়েছে। দুবে জানিয়েছেন, দেশের অন্তত ১২টি রাজ্য, রোজ ২ থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ৪৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হচ্ছে।

এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতির জন্য মোদী সরকারকে নিশানা করে রাহুল গান্ধী আজ টুইটারে লিখেছেন, ‘‘মোদীজি, এই বিদ্যুৎ সঙ্কটে আপনার ব্যর্থতার জন্য কাকে দোষারোপ করবেন? নেহরুজিকে, রাজ্যগুলিকে নাকি দেশের জনতাকেই?’’ একই সুরে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের টুইট, ‘‘প্রচুর কয়লা রয়েছে। রয়েছে রেলের বিরাট পরিকাঠামো। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির ক্ষমতাকেও পুরোপুরি ব্যবহার করা হয়নি। তবে এর জন্য মোদী সরকারকে দোষ দিলে চলবে না। আসলে এমন সঙ্কটের কারণ, কংগ্রেসের ৬০ বছরের শাসনে কিছুই হয়নি।’’ দেশে কংগ্রেসের জমানায় উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগ সব সময়েই শোনা যায় মোদীর মুখে। বিদ্যুৎ সঙ্কট নিয়ে বলতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গ টেনেই মোদীকে কটাক্ষ করেছেন চিদম্বরম।

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Rahul Gandhi Power Outrage
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE