কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
দিল্লির পরে মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকেও বন্ধ হয়েছে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। একের পর এক রাজ্যে প্রতিষেধকের ভাঁড়ারে টান পড়ার পরে আজ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হল প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সার্বিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। তাঁর টুইট, “একে তো মহামারি, তার উপরে প্রধান অহঙ্কারী!” রাহুলের বক্তব্য, করোনায় মৃতদের দেহ গঙ্গায় ভেসে যাওয়ার দায় কেন্দ্রের।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও বিহারের নদীতে ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। এমন ভিডিয়োও সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, কোভিডে মৃতদের দেহ নদীতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। গঙ্গার ১১৪০ কিলোমিটার গতিপথে নদীর তীরে হাজারেরও বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে বলে খবর। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ২৭টি জেলায় বহু মৃতদেহের কবর হয়েছে গঙ্গাতীরেই। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের টুইট, “সবার সঙ্গে ছবি (ভাসমান দেহের) ভাগ করে নিতে আমার ভাল লাগে না। দেশ এবং গোটা বিশ্ব এই ছবি দেখে দুঃখিত। কিন্তু যাঁরা উপায় না-থাকায় মৃত প্রিয়জনেদের গঙ্গার ধারে ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের কষ্টও বুঝতে হবে। দোষটা তাঁদের নয়। এর দায়িত্ব সরকারের।”
এক দিকে কোভিডের ঢেউ সামলাতে না-পেরে ভেঙে পড়া স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, অন্য দিকে টিকার জোগানের অভাব। চলতি সপ্তাহে গত আড়াই মাসের হিসেবে সব থেকে কম টিকাকরণ হয়েছে। সম্প্রতি রাহুল পরিসংখ্যান তুলে দেখিয়েছেন, দেশের ৭০ শতাংশ জেলায় প্রতি ১০০ জনের জন্য মাত্র ২০ ডোজ় টিকা পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তারা মানছেন, টিকার অভাবই এর কারণ। তবে সরকারের দাবি, জুলাইয়ে টিকা উৎপাদন মাসে ১৭ কোটিতে
পৌঁছে যাবে।
কিন্তু আপাতত রাজ্যগুলির হাঁড়ির হাল দেখে কেন্দ্রের প্রতিষেধক-নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম। তাঁর বক্তব্য, “কেন্দ্র জানিয়েছিল, ১.৬ কোটি ডোজ় প্রতিষেধক রাজ্যগুলিকে দেওয়া হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, দিল্লি, কর্নাটক-সহ অনেক রাজ্যই ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষেধকের অভাবে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বাড়ি থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দূরত্ব কত? কেন তাঁরা দেখা করে নিজেদের পরিসংখ্যান মিলিয়ে দেখছেন না, কোথায় গলদ রয়েছে? কেন তাঁরা তর্কে জড়াচ্ছেন?” চিদম্বরমের মতে, দৈনিক টিকাকরণের সংখ্যা কমার কারণ, প্রতিষেধকের অভাব। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায় রয়েছে এ নিয়ে মানুষের কাছে জবাবদিহি করার।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন, প্রতিষেধকের জোগান ঠিকমতো হলে জুন মাসের পর থেকে টিকাকরণের হার অনেকটাই বাড়বে। তাঁর কথায়, “মহারাষ্ট্র সরকার এক লপ্তে ১২ কোটি ডোজ় কেনার জন্য প্রস্তুত (১৮-৪৪ বছর বয়সিদের জন্য)। রাজ্যের ৬ কোটি মানুষ সেই টিকা পাবেন। কিন্তু জোগানে টান পড়ার জন্য এই মুহূর্তে তা করা সম্ভব হচ্ছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy