সাভারকরকে নিয়ে রাহুলের সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের মতপার্থক্য প্রকাশ্যে। ফাইল চিত্র।
কিছু দিন আগেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভারত জোড়ো যাত্রায় পা মিলিয়েছিলেন আদিত্য ঠাকরে। কিন্তু আজ বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে নিয়ে রাহুলের সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের মতপার্থক্য প্রকাশ্যে চলে এল।
আজ ভারত জোড়ো যাত্রার ফাঁকে রাহুল সাংবাদিক বৈঠক করে সঙ্ঘের তাত্ত্বিক নেতা সাভারকরকে নিশানা করেছেন। নরেন্দ্র মোদীর ‘মতাদর্শগত গুরু’ বলে পরিচিত সাভারকরের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমাভিক্ষার অভিযোগ তুলে রাহুল বলেন, সাভারকর জেল থেকে ব্রিটিশদের চিঠি লিখে বলেছিলেন, তিনি ব্রিটিশদের অনুগত হিসেবে থাকতে চান। রাহুল বলেন, “সাভারকর ব্রিটিশদের সাহায্য করেছিলেন। উনি ইংরেজদের চিঠি লিখে বলেছিলেন, স্যর, আমি আপনাদের চাকর হয়ে থাকতে চাই। যখন উনি চিঠিতে সই করছেন, তখন এর পিছনে কী কারণ ছিল? ভয়। উনি ব্রিটিশদের ভয় পেয়েছিলেন।’’
রাহুল যখন মহারাষ্ট্রে এই কথা বলছেন, তখন উদ্ধব জানিয়েছেন, তিনি রাহুলের সঙ্গে একমত নন। তাঁর বক্তব্য, “আমরা সাভারকরকে সম্মান করি। ব্রিটিশদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া স্বাধীনতা বজায় রাখতেই আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিলাম।’’ উদ্ধবের প্রশ্ন, বিজেপি সরকার কেন সাভারকরকে ভারতরত্ন দেয়নি?
বিদর্ভে পা রাখার পর থেকেই রাহুল সাভারকরকে নিশানা করছেন। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, এই বিদর্ভের নাগপুরেই আরএসএসের সদর দফতর। আরএসএসের ঘরের মাঠে তার নেতাকে নিশানা করতে চাইছেন রাহুল। আজ রাহুল একই ভাবে মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই পটেলের সঙ্গে সাভারকরের তুলনা করে বলেছেন, গান্ধী-নেহরু-পটেলরা যখন জেলে কাটিয়েছেন, তখন সাভারকর জেল থেকে ছাড়া পেতে ক্ষমাভিক্ষা করেছিলেন। রাতে বিজেপির অমিত মালবীয়ের টুইট, ১৯২৩ সালের সেপ্টেম্বরে মতিলাল নেহরু ক্ষমা চেয়ে পুত্র জওহরলালকে জেল থেকে ছাড়িয়ে এনেছিলেন।
এদিকে ভারত জোড়ো যাত্রার ফাঁকে একটি সভায় রাহুলের উপস্থিতিতেই জাতীয় সঙ্গীতের বদলে ভুল করে নেপালের জাতীয় সঙ্গীত বেজে ওঠায় তা নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy