ফাইল চিত্র।
গুজরাতের বন্দরে গত বছর থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েক হাজার কোটি টাকার মাদক উদ্ধার এবং সাম্প্রতিক বিষ-মদে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এ বার সরাসরি বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’কে নিশানা করলেন রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সেই সূত্রেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকেও এক হাত নিলেন তাঁরা। গুজরাত বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে মাদক এবং বিষমদ নিয়ে নিশানা করে বিজেপিকে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সোমবার টুইটারে রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কা আলাদা ভাবে গুজরাতের বন্দরে মাদক উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সরকারকে নিশানা করেন। রাহুল টুইটারে অভিযোগ করেন, বিজেপি পরিচালিত রাজ্য সরকার মাদক মাফিয়াদের সাহায্য করছে। গুজরাতের একটি বন্দরে গত বছর অক্টোবরে ধরা পড়েছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার মাদক। তার পরেও একাধিক বার গুজরাতের বন্দর থেকে বড় পরিমাণে মাদক উদ্ধারের ঘটনা সামনে এসেছে। সেই বিষয়টি তুলে ধরে রাহুল লেখেন, ‘ডবল ইঞ্জিনের সরকারে বসে থাকা সেই লোকেরা কারা, যাঁরা মাদক এবং মদ মাফিয়াদের সাহায্য করছেন।’
রাহুলের মতোই প্রায় এক সুরে প্রিয়ঙ্কাও টুইটারে লেখেন, ‘গুজরাতের একই বন্দর থেকে তিন বার মিলিয়ে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছে। অথচ সংবাদমাধ্যম চুপ, সরকার অলস হয়ে রয়েছে এবং সরকারের সমস্ত সংস্থাগুলি নীরব! বিজেপি সরকারের নাকের ডগায় বসে মাদক মাফিয়ারা গোটা দেশে মাদক বিক্রি করছে। প্রশাসন কি অসহায় না মাফিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে?’
রাহুল-প্রিয়ঙ্কার টুইটে স্পষ্ট, গুজরাতের বন্দরে উদ্ধার হওয়া মাদকের পাশাপাশি মহাত্মা গান্ধীর রাজ্য গুজরাতে বিষমদে মৃত্যুর বিষয়টিকেও তুলে ধরে বিজেপিকে নিশানা করছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যকে গোটা দেশে ‘গুজরাত মডেল’ হিসেবে তুলে ধরে বারবার প্রচার চালায় বিজেপি। সেই রাজ্যে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার নিয়ে তাই গোড়া থেকেই প্রশ্ন উঠেছে। তার পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের বিজেপি সরকার যে ভাবে নীরবতা অবলম্বন করেছে, তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। রাহুলের প্রশ্ন, একই বন্দর থেকে কী ভাবে বারেবারে এই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয়? কংগ্রেসের অভিযোগ, গুজরাতের ওই বন্দরটি মোদীর অতি ঘনিষ্ঠ এক শিল্পপতির সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করে।
কয়েক মাস পরেই গুজরাতে বিধানসভার ভোট। কংগ্রেস অনেকটা ছন্নছাড়া। দ্রুত সেই শূন্য স্থান দখলে মরিয়া অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি। সোমবারও গুজরাতে প্রচারে গিয়েছেন আপ-প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়াল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস প্রচারে তুলে আনছে মাদক উদ্ধার, বিষমদে মৃত্যুর মতো বিষয়কে। গ্রামে শিশুদের অপুষ্টি এবং বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয়কেও সামনে রাখছে তারা। সোমবার রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কার টুইটে সেটাই স্পষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে কংগ্রেসের একটি সূত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy