গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ভারতীয় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-এর গভর্নর থাকাকালীন বছরে মাত্র চার লক্ষ টাকা বেতন পেতেন তিনি। এমনটাই দাবি রঘুরাম রাজনের। একটি ইউটিউব চ্যানেলের সঞ্চালক রাজ শামানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রঘুরাম যে ‘তথ্য ফাঁস করেছেন’ তা হিসাব করলে দাঁড়ায়, দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের সর্বোচ্চ পদে থাকার সময় তাঁর মাসিক বেতন ছিল ৩৩ হাজার টাকা!
ওই সাক্ষাৎকারে আরবিআই গভর্নরের বেতন প্রসঙ্গে রঘুরাম স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘‘বর্তমান বেতন কত, তা আমি জানি না। কিন্তু আমার সময়ে বেতন ছিল বছরে চার লক্ষ টাকা।’’ সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বেতনের চেয়ে তাঁর কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিল পদাধিকার বলে প্রাপ্ত সরকারি বাংলোটি। তিনি বলেন, ‘‘সবচেয়ে বড় সুবিধাটি ছিল বাড়ি। মুম্বইয়ের মালাবার হিলে ধীরুভাই অম্বানীর বাড়ির থেকে কয়েকটি ব্লক দূরে আপনি সত্যিই একটি বড় বাড়ি পাবেন।’’
রঘুরামের বেতন সংক্রান্ত মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠেছে সমাজমাধ্যমে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের অক্টোবরে বিজনেস টুডে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, সে সময় রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের বেতন ছিল মাসিক দু’লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা। ওই প্রতিবেদনে দাবি, ২০১৩-র সেপ্টেম্বরে মাসিক এক লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা বেতনে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে যোগ দিয়েছিলেন রঘুরাম। ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে মেয়াদ শেষের সময় তাঁর মাসিক বেতন ছিল মাসিক দু’লক্ষ টাকার কাছাকাছি। ওই সাক্ষাৎকারে রঘুরাম জানিয়েছেন, প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর হিসাবে তিনি কোনও পেনশন পান না।
প্রসঙ্গত, মনমোহন সিংহের দ্বিতীয় দফার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আরবিআই গভর্নরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন রঘুরাম। নরেন্দ্র মোদীর জমানায় শীর্ষ ব্যাঙ্কের কর্ণধার পদে তিন বছরের মেয়াদ ফুরোতেই তিনি দেশ ছাড়েন। বিশ্বজোড়া করোনা পরিস্থিতি যুঝতে আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ) ১১ সদস্যের যে উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করেছিল, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। সম্প্রতি, রঘুরাম অপুষ্টির মোকাবিলায় মোদী সরকারের পদক্ষেপ কার্যকর হচ্ছে না, বলে অভিযোগ তুলেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy