—ফাইল চিত্র।
এনআরসি দফতর কবে, কী পদ্ধতিতে ২৭ শতাংশ আবেদন ফের যাচাই করেছে, তা প্রকাশ করার দাবি উঠল। অভিযোগ উঠল, অনেকের নাম থাকা সত্ত্বেও তা বাদ দেওয়ার জন্য চক্রান্ত হচ্ছে। একই দিনে দুই জেলায় শুনানিতে হাজির হতে বলা হচ্ছে পুরো পরিবারকে।
সীমান্তের জেলায় ২০ শতাংশ ও বাকি জেলায় ১০ শতাংশ নাম ফের যাচাই করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ছে অসম সরকার। কিন্তু এনআরসি কোঅর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা শীর্ষ আদালতে জানিয়েছেন, এর দরকার নেই। তাঁর দফতর ২৭ শতাংশ আবেদন পুনর্মূল্যায়ন করে ফেলেছে। কিন্তু কী ভাবে তা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট রিপোর্টেই বা কী রয়েছে— এ ব্যাপারে কেন্দ্র ও অসম সরকার অন্ধকারে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি।
সচেতন নাগরিক মঞ্চের বক্তব্য, হাজেলা কি পদ্ধতিতে পুনর্মূল্যায়ন করেছেন— তা কারও জানা নেই। রাজ্যের ইতিহাসে এত বড় ও সংবেদনশীল বিষয় কোনও এক আমলার মুখের কথায় বিশ্বাস রেখে সেরে ফেলা চলে না। ফের খসড়া যাচাইয়ের ব্যাপারে তিনি কবে নোটিস দিয়েছিলেন, কাদের সাক্ষী রেখে যাচাই প্রক্রিয়া চলেছে, সব জানা দরকার। সংগঠনের তরফে চন্দন ভট্টাচার্য জানান, অনেক নাম টাকার বিনিময়ে ঢোকানো হয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। গোটা রাজ্যে এনআরসিতে প্রচুর অবৈধ নাগরিকের নাম ঢুকেছে দাবি করে এবং ১০০ শতাংশ পুনর্মূল্যায়ন দাবি করে আগেই রাষ্ট্রপতিকে ২৫ লক্ষ মানুষের সই করা স্মারকলিপি দিয়েছে সচেতন নাগরিক মঞ্চ। একই দাবি তুলেছে এনআরসি মামলার মূল আবেদনকারী আসাম পাবলিক ওয়ার্কস। রাজ্য সরকারও বিধানসভায় তথ্য তুলে ধরে জানিয়েছে, সীমান্ত ও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলিতে ৯০ শতাংশের বেশি নাম খসড়া তালিকায় উঠলেও জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় নাম বাদের হার বেশি।
ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা নাগরিক সমাজের অভিযোগ, এনআরসিতে নাম ওঠার পরেও হাজার হাজার মুসলিমকে ফের নোটিস পাঠানো হচ্ছে। তাঁদের মাত্র দু’দিনের মধ্যে বংশতালিকায় থাকা সকলকে নিয়ে ভিন্ন জেলায় শুনানিতে হাজির হতে বা হচ্ছে। এত কম সময়ে এত জনকে একজোট করে ভিন্ন জেলায় হাজির হওয়া অসম্ভব। এমনকি একই দিনে উজান ও নামনির দু’টি জেলায় শুনানিতে হাজির থাকার নোটিস পাচ্ছেন অনেকে! সংগঠনটির মতে, সুপ্রিম কোর্টের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীনে চলা এনআরসি প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্য যে ভাবে বিধানসভায় তথ্য প্রকাশ করেছে ও পুনর্মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছে— তা সত্যি হলে, সেটা আদালত অবমাননার শামিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy