পুরীতে এ বছর দু’দিন ধরে চলবে রথযাত্রা। — ফাইল চিত্র।
৫৩ বছর পর দু’দিন ধরে পুরীতে পালন করা হবে রথযাত্রা। লক্ষাধিক ভক্তের সঙ্গে রথযাত্রা দেখতে রবিবার উপস্থিত থাকছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা মন্দির চত্বরে।
এমনিতে এক দিন ধরে চলে রথযাত্রা। ১৯৭১ সালে শেষ বার দু’দিন ধরে চলেছিল রথযাত্রা। এমনিতে ‘নবযৌবন দর্শন’ এবং ‘নেত্র উৎসব’ রথের আগে হয়ে যায়। কিন্তু এ বার তা হচ্ছে রবিবার। স্নানযাত্রার পর ১৫ দিন ঘরের ভিতর থাকে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ। দরজা বন্ধ থাকে। একে বলে ‘অনসরা’ (কোয়ারেন্টাইন)। পুরাণে বলা হয়, অতিরিক্ত স্নানের কারণে জ্বর হয় জগন্নাথদেবের। সে কারণেই বন্ধ ঘরে থাকে বিগ্রহ। তার পরেই জগন্নাথদেবের নতুন রূপের দর্শন হয়, যাকে বলে ‘নবযৌবন দর্শন’। তার আগে হয় ‘নেত্র উৎসব’। বিগ্রহের চক্ষুদান করেন পুরোহিত। এ বছর এই দুই রীতিই পালন করা হবে রবিবার।
জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদরজার সামনে রাখা রয়েছে রথ। ভক্তেরা তা টেনে নিয়ে যাবেন গুণ্ডিচা মন্দিরে। সেখানে সাত দিন রাখা থাকবে রথ। তার পর আবার তা ফিরে আসবে মন্দিরে। পুরীর জেলাশাসক সিদ্ধার্থশঙ্কর স্বেন জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ভাবেই পালন করা হচ্ছে রীতি। সময় ধরেই এগোবে আচার-অনুষ্ঠান। পুরীর পুলিশ সুপার পিনাক মিশ্র জানান, ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রের ১৮০ প্লাটুন রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। একটি প্লাটুনের অধীনে থাকেন ৩০ জন রক্ষী। মন্দির চত্বর, রথযাত্রার পথ থেকে প্রায় গোটা শহরে মোতায়েন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। রাষ্ট্রপতি আসছেন বলে তাঁর জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। ওড়িশার রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের জন্য বিশেষ ভিআইপি জ়োন রাখা হয়েছে। দমকল সূত্রে খবর, ১০ থেকে ১৫ লক্ষ ভক্ত সমাগম হতে পারে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy