Advertisement
২৩ অক্টোবর ২০২৪
Cyclone Dana in Odisha

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় ত্রস্ত ওড়িশা! বুধবার থেকে আগামী দু’দিন বন্ধ থাকবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, কোনার্ক

মৌসম ভবন জানিয়েছে, ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আছড়ে পড়বে ‘দানা’। আছড়ে পড়ার সময় গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় সর্বাধিক ১২০ কিলোমিটার।

পুরীর জগন্নাথ মন্দির। ফাইল চিত্র।

পুরীর জগন্নাথ মন্দির। ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০৬
Share: Save:

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যেই ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মাঝে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। বৃহস্পতিবার সকালেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে ‘দানা’। এই সময়ে কোনও রকম অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে না ঘটে, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে তাই পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং কোনার্ক বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই)। শুক্রবার পর্যন্ত এই দুই মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্দির খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর।

সোমবারই রাজ্য প্রশাসন ঘোষণা করে মঙ্গলবারের মধ্যে পর্যটকদের পুরী ছাড়তে হবে। সেই ঘোষণার পর পরই পুরী ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায় পর্যটকদের মধ্যে। বুধবার প্রায় পর্যটকশূন্য পুরী। ঝড়ের প্রভাবে যাতে মন্দির, জাদুঘরগুলির কোনও ক্ষতি না হয়, তার জন্য আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছে এসএআই। সেই পদক্ষেপের অঙ্গ হিসাবেই বাঙালির জনপ্রিয় দুই জায়গা পুরীর মন্দির এবং কোনার্কের সূর্যমন্দির বন্ধের নির্দেশ দিল এএসআই।

ঘূর্ণিঝড় যত উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে, ততই হাওয়ার গতি বাড়ছে। আবহাওয়াও বদলাচ্ছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে আছড়ে পড়বে ‘দানা’। ইতিমধ্যেই গঞ্জাম, পুরী, জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক, বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, ঢেঙ্কানল, জাজপুর, আঙুল, খুরদা, নায়ারণগড় এবং কটকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জগন্নাথ মন্দির এবং কোনার্কের সূর্যমন্দিরের পাশাপাশি ময়ূরভঞ্জের সিমলিপাল ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র এবং কেন্দ্রাপাড়ার ভিতরকণিতা জাতীয় উদ্যান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী সুরেশ পূজারী জানিয়েছেন, ৫০০০ ত্রাণশিবির বানানো হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২০টি দল মোতায়েন করা হয়েছে ঝড় মোকাবিলার জন্য। এ ছাড়াও সেনা, নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE