Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Amritpal Singh

ছদ্মবেশে লুকিয়ে রয়েছেন অমৃতপাল? নানা সম্ভাব্য ‘রূপের’ ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছে পঞ্জাব পুলিশ

পঞ্জাব পুলিশ অমৃতপালের সম্ভাব্য ৭টি চেহারার ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে তাঁর পরিচিত চেহারা এবং স্বাভাবিক বেশের পাশাপাশি রয়েছে দাড়ি-গোঁফ কামানো এবং পাগড়িহীন ছদ্মবেশী রূপের ছবিও।

Punjab Police suspect Amritpal Singh has changed his appearance, share seven looks of abscond radical leader

কোন রূপে লুকিয়ে অমৃতপাল? ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ ২০:৫৮
Share: Save:

শেষ বার তাঁকে ‘দেখা গিয়েছে’ জালন্ধরে। শনিবার রাতে ব্রেঝা টোল প্লাজায় বসানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে। সেখানে এসইউভির চালকের পাশে পরিচিত চেহারাতেই হাজির ছিলেন ‘পলাতক’ খলিস্তানপন্থী নেতা তথা স্বঘোষিত শিখ ধর্মগুরু অমৃতপাল সিংহ। কিন্তু পঞ্জাব পুলিশের ধারণা, আত্মগোপন করার জন্য গত ৭২ ঘণ্টায় একাধিক বার গাড়ি বদলের পাশাপাশি চেহারাতেও পরিবর্তন এনেছেন তিনি। ছদ্মবেশ ধরে ধুলো দিতে চাইছেন পুলিশের চোখে।

পঞ্জাব পুলিশের তরফে মঙ্গলবার অমৃতপালের সম্ভাব্য ৭টি চেহারার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তাঁর পরিচিত চেহারা স্বাভাবিক বেশের পাশাপাশি রয়েছে দাড়ি-গোঁফ কামানো এবং পাগড়িহীন ‘সম্ভাব্য’ রূপের ছবিও। তবে আশির দশকের কট্টরপন্থী শিখ নেতা জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রানওয়ালের ভক্ত অমৃতপাল কোনও অবস্থাতেই শিখদের ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ পাগড়ি এবং দাড়ি বিসর্জন দেবেন না বলে মনে করছেন তাঁর অনুগামীরা।প্রসঙ্গত, হিংসায় মদতের অভিযোগ শনিবার দুপুর থেকেই স্বঘোষিত ওই শিখ ধর্মগুরুকে গ্রেফতার করতে অভিযানে নেমেছিল পঞ্জাব পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। প্রথমে পুলিশ সূত্রে খবর মিলেছিল, অমৃতপাল জালন্ধরের শাহকোট এলাকার মেহতপুর গ্রামে রয়েছেন। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ (বাংলা তর্জমায় ‘পঞ্জাবের উত্তরাধিকারী’)-র প্রধানের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্রধারী দেহরক্ষীরা রয়েছেন। রক্তপাত এবং প্রাণহানির ঝুঁকি এড়াতে তাই চূড়ান্ত সাবধানতা বজায় রাখা হচ্ছে। এর পরে শনিবার রাতে ‘খবর’ মেলে অমৃতপাল বাইকে চড়ে পুলিশের চোখের সামনে থেকেই পালিয়ে যান।

রাজ্যে ৮০ হাজার পুলিশ থাকা সত্ত্বেও জাতীয় নিরাপত্তা আইন (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট) এবং অস্ত্র আইনে (আর্মস অ্যাক্ট) অভিযুক্ত অমৃতপাল কী ভাবে পালিয়ে গেলেন তা নিয়ে মঙ্গলবার প্রশ্ন তুলেছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্ট। ভর্ৎসনা করেছে পঞ্জাব পুলিশকে। ‘দ্বিতীয় ভিন্দ্রানওয়ালে’ হিসাবে পরিচিত অমৃতপালের বিরুদ্ধে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগ এবং মানববোমা হামলার পরিকল্পনার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে। সরকারি হিসাব বলছে, পঞ্জাবে পুলিশি অভিযানে শনিবার থেকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১২০ জনকে। তার মধ্যে ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’ সংগঠনের চার নেতাকে বায়ুসেনার বিমানে রবিবার অসমের ডিব্রুগড়ে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দেশের অন্যতম উচ্চ-নিরাপত্তার ডিব্রুগড় কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁদের রাখা হয়েছে।প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে আজনালায় থানায় হামলার ঘটনার জেরেই ‘ভাই সাব’ (অনুগামীদের কাছে এই নামেই পরিচিত অমৃতপাল) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতারের জন্য সক্রিয় হয়েছে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সরকার। শনিবার সকালে মোগা এলাকা থেকে অমৃতপালের সংগঠন ছ’জন নেতাকে আটক করে পুলিশ। তার পরেই খলিস্তানপন্থী নেতাকে ধরতে তৎপরতা শুরু হয়। কিন্তু আজনালা থানায় হামলার ঘটনার এক মাস পরে অভিযান হলেও অমৃতপাল তার আঁচ পেলেন কী করে, সেই বিষয়ে নীরব পুলিশকর্তারা।

অন্য বিষয়গুলি:

Amritpal Singh Punjab Police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE