১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে সোমবার তলব করল পঞ্জাবের সাঙরুরের আদালত। কর্নাটকে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বজরং দলকে নিষিদ্ধ করা হবে— নির্বাচনী ইস্তাহারে এমনটাই জানিয়েছিল কংগ্রেস। শনিবার কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে ১৩৫টি আসনে জিতে সে রাজ্য দখল করেছে কংগ্রেস। এর মধ্যেই ওই ইস্তাহার নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন বজরং দল হিন্দুস্তান নামে একটি সংগঠনের সভাপতি হীতেশ ভরদ্বাজ। সেই মামলায় খড়্গেকে তলব করল আদালত।
আরও পড়ুন:
কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘‘ধর্ম, জাতের ভিত্তিতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি এবং সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস।’’ এই প্রসঙ্গেই বজরং দল, পিএফআইয়ের মতো সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছিল ইস্তাহারে। দলের ইস্তাহারে থাকা প্রতিশ্রুতি ব্যাখ্যা করে কংগ্রেস সভাপতি বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেস জাতি এবং ধর্মের ভিত্তিতে সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানো ব্যক্তি এবং সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং নির্ণায়ক পদক্ষেপ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’
শনিবার বিরাট ব্যবধানে জিতে কর্নাটক দখল করেছে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের আগে যা বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে কংগ্রেসকে। কর্নাটকে নতুন সরকার গঠনের আগেই কংগ্রেসের ইস্তাহার নিয়ে আদালতে গেল ওই সংগঠন। সেই মামলায় খড়্গেকে তলব এই পর্বে নতুন মাত্রা যোগ করল। যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কংগ্রেসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরং দল হিন্দু চরমপন্থী সংগঠন হিসাবেই পরিচিত। অতীতেও তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-এর সাধারণ সম্পাদক মিলিন্দ পরান্দে কংগ্রেসের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পরান্দে বলেছেন, “হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষ থেকে যদি বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে হয়, তবে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।” বজরং দল নিষিদ্ধ হওয়ার ভয় পায় না বলেও দাবি করেন তিনি। কংগ্রেসের ইস্তাহারের বিরুদ্ধে আগেই সুর চড়িয়েছিল বিজেপি। কর্নাটক ভোটের প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘‘কংগ্রেস আগে রামনামের উপর বিধিনিষেধ জারি করতে সক্রিয় ছিল, এখন তারা ‘জয় বজরংবলী’ স্লোগানদাতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইছে। এটি সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।’’ কংগ্রেসের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বজরং দলের সদস্যেরাও।