Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Amarinder Singh

Punjab: সিধু-চন্নী-অমরেন্দ্র জটে ‘উড়তা পঞ্জাব’ কংগ্রেসে, একাধিক বিধায়কের ইস্তফার আশঙ্কা

সিধু মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর পাটিয়ালার বাড়িতে রয়েছেন। বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন অন্তত ১৫ জন কংগ্রেস বিধায়ক।

সিধু, চান্নী এবং অমরেন্দ্র।

সিধু, চান্নী এবং অমরেন্দ্র। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৬:৪১
Share: Save:

পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এ বার দলের ‘অন্দরের দুর্নীতি’ নিয়ে সরব হলেন নভজোৎ সিংহ সিধু। বুধবার টুইটারে এক ভিডিয়ো-বার্তায় তাঁর ঘোষণা, ‘‘দুর্নীতির সঙ্গে কোনও অবস্থাতেই আপস করব না। নীতির পথ থেকে সরব না।’’

গুরমুখী ভাষায় সাড়ে চার মিনিটের ভিডিয়ো-বক্তৃতায় সিধু আরও বলেছেন, ‘‘পঞ্জাব এবং পঞ্জাববাসীর কল্যাণের লক্ষ্যে, সত্যের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব আমি।’’ এই পরিস্থিতিতে বুধবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন। তার পরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘আমি সিধুর সঙ্গে কথা বলেছি। আবার বলব। আমরা চাই, কংগ্রেসের সব নেতা বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন।’’

চন্নী মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিধু অনুগামী দুই মন্ত্রী রাজিয়া সুলতানা এবং পরাগত সিংহ গরহাজির ছিলেন। তাঁর দু’জনেই ইস্তফা দিয়েছেন বলে সিধু শিবিরের দাবি। ছিলেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের অনুগামী ব্রহ্ম মাহিন্দ্রাও। সিধু মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর পাটিয়ালার বাড়িতে রয়েছেন। বুধবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন অন্তত ১৫ জন কংগ্রেস বিধায়ক। ছিলেন, সিধুর সমর্থনে প্রদেশ কংগ্রেসের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া সাধারণ সম্পাদক যোগীন্দর ধিংড়া এবং কোষাধ্যক্ষ গুলজার ইন্দর চহাল।

শেষ পর্যন্ত সিধু বিদ্রোহে অনড় থাকলে তাঁর অনুগামী একাধিক বিধায়ক ইস্তফা দিতে পারেন বলে প্রদেশ কংগ্রেসের একটি সূত্রের দাবি। সে ক্ষেত্রে চরম বিশৃঙ্খলার এই আবহে বিধানসভা ভোটের আগে বড় ভাঙনের মুখে পড়তে পারে সনিয়া গাঁধীর দল।

সিধুর ইস্তফা প্রসঙ্গে মঙ্গলবার অমরেন্দ্র বলেছিলেন, ‘‘আগেই বলেছিলাম, ওঁর (সিধুর) স্থিরতা নেই। আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী পঞ্জাবের জন্য তিনি উপযুক্ত নন।’’ বুধবার আনন্দপুর সাহিবের কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেন, ‘‘পঞ্জাবের এমন অস্থিরতায় খুশি হবে শুধু পাকিস্তান।’’ পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘অমরেন্দ্র এক জন প্রকৃত জাতীয়তাবাদী নেতা।’’

কংগ্রেস সূত্রের খবর, নতুন মন্ত্রিসভায় দফতর বণ্টন নিয়ে সিধু অখুশি। বিশেষত পঞ্জাব কংগ্রেসে তাঁর বিরোধী হিসেবে পরিচিত উপমুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিংহ রণধাওয়াকে স্বরাষ্ট্র দফতর এবং অমরেন্দ্র অনুগামী বিজয় ইন্দর সিংলাকে পূর্ত দফতর দেওয়া, বালি খাদান দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাণা গুরজিৎ সিংহকে মন্ত্রী করা এবং অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে এ পি এস দেওলের নিয়োগে আপত্তি সিধুর।

এআইসিসি সূত্রের খবর, এখনও আলোচনার মাধ্যমে সিধুকে ‘বাগে আনার’ বিষয়ে আশাবাদী কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্ব। কিন্তু বিকল্প পথও খোলা রাখা হচ্ছে। পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে আলোচনায় রয়েছে লুধিয়ানার সাংসদ রভনীত সিংহ বিট্টু এবং ফতেগড় সাহিবের বিধায়ক কুলজিৎ সিংহ নাগরার নাম।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy