চরণজিৎ সিংহ চন্নী এবং প্রশান্ত কিশোর। ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) সাহায্য নিতে পারে কংগ্রেস। এ কথা জানিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক হরিশ রাওয়ত নিজেও পিকে-র সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সাম্প্রতিক একটি সভার ভিডিয়ো বুধবার প্রকাশ্যে এসেছে (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি)। তাতেই আগামী বছরের বিধানসভা ভোটে পিকে-র সাহায্য নেওয়ার সম্ভাবনার কথা বলতে শোনা গিয়েছে চন্নীকে। মুখ্যমন্ত্রী চন্নী, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধু-সহ পঞ্জাব কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা এখন কেদারনাথ ধাম যাত্রা করছেন।
২০১৭ সালে পঞ্জাবের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের প্রচার-কৌশল নির্ধারণে পিকে-র ভূমিকা ছিল। ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের উপদেষ্টা পদেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। গত অগস্টে সেই পদ থেকে পিকে ইস্তফা দেন। বুধবার অমরেন্দ্র আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেস ছেড়ে নয়া দিল ‘পঞ্জাব লোকহিত কংগ্রেস’ গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফরের প্রস্তুতির কাজে গিয়ে পিকে গত সপ্তাহে ‘রাহুল গাঁধীর সমস্যা’ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গাঁধী ভাবেন, এক সময় মানুষ নিজে থেকেই নরেন্দ্র মোদীকে সরিয়ে দেবেন। সেটাই তাঁর সমস্যা। কারণ, বাস্তবে তা হবে না।’’ পাশপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘বিজেপি আগামী কয়েক দশক দেশের রাজনীতির কেন্দ্রে থাকবে। ওই দল সহজে কোথাও যাবে না বা জাতীয় রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে না।’’
পিকে-র এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন একাধিক কংগ্রেস নেতা। এই পরিস্থিতিতে ফের তাঁর ‘ভোট-পরামর্শ’ নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সন্দিহান কংগ্রেসের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy