গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোই। — ফাইল চিত্র।
সম্প্রতি নতুন করে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের ২০২২ সালের একটি সাক্ষাৎকার। সেই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে আরও এক বার সরকারকে দুষল উচ্চ আদালত।
২০২৪-এর অগস্টে জেলবন্দি লরেন্সের সাক্ষাৎকারে সাহায্যকারী সিনিয়র আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশ না মানায় বুধবার সরকারকেই দুষেছে আদালত। প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি-খুনে বিশ্নোই-যোগের জল্পনার পর থেকেই লরেন্সের পুরনো ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিয়োর দর্শকসংখ্যা ১ কোটি ২০ লক্ষও ছাড়িয়ে যায়। সোমবারই ওই ভিডিয়োর উপর আরও এক বার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। আদালতের মতে, সাক্ষাৎকারটি ছড়িয়ে পড়তে দেওয়া মানে ‘অপরাধমূলক কাজকে প্রশ্রয় দেওয়া’।
সাক্ষাৎকারটির বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ভিডিয়োটি শুধু আপত্তিকরই নয়, বরং সমাজের জন্য ক্ষতিকারকও। এর আগে গত ডিসেম্বরেও সমাজমাধ্যম থেকে ওই ভিডিয়োর সমস্ত অনুলিপি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তা সত্ত্বেও কী ভাবে ফের ওই ভিডিয়োগুলি প্রকাশ্যে এল, তা নিয়ে বিরক্ত হাই কোর্ট। পাশাপাশি, জেলে গিয়ে লরেন্সের সাক্ষাৎকার নেওয়ার ওই ঘটনায় জেলের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতিরা।
আদালতের নির্দেশ মেনে গত সপ্তাহেই সাত জন আধিকারিককে চিহ্নিত করে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনই অধস্তন কর্মচারী। বুধবার হাই কোর্টে বিচারপতি অনুপিন্দর সিংহ এবং বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সাক্ষাৎকার রেকর্ড করার জন্য কুখ্যাত অপরাধীকে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য একটি স্টুডিয়ো এবং বৈদ্যুতিন যন্ত্রও সরবরাহ করা হয়েছে, যা অপরাধমূলক কাজকে প্রশ্রয় দেওয়ারই শামিল। আদালতের মত, ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো দেশের তরুণ প্রজন্মের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে, দেশে অপরাধমূলক কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি করবে। প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে দেশের নিরাপত্তাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy