এ বার সচিন তেন্ডুলকরের বাড়ির সামনে বসে ‘আমরণ অনশন’ শুরু করবেন তাঁর এক ভক্ত। সপরিবারে। আগামী বুধবার থেকে। বিচার পাওয়ার আশায়।
পুরনো বাড়ি আর জমি বেচে নগদ টাকা আর সাধের ঝকঝকে ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে এক ডেভেলপারের কাছে বড় ঠকে গিয়েছেন সচিনের ওই ভক্ত। তাঁর বাড়ি আর জমির সবটাই নিয়ে নিয়েছে ওই ডেভেলপার সংস্থা। কিন্তু, বিনিময়ে তাঁকে তারা যা দেবে বলেছিল, সেই দু’কোটি টাকা আর দেয়নি। ঝকঝকে ফ্ল্যাটও আর তাঁর কপালে জোটেনি। সচিন ওই ডেভেলপার সংস্থার প্রাক্তন ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’। তাই তাঁর ভক্তের আশা, সচিন একটা কিছু করবেনই। হয় তাঁর টাকাটা উদ্ধার হবে। না হলে অন্তত একটা ফ্ল্যাট পেয়ে যাবেন।
সবটাই নির্ভর করছে সচিনের ওপর।
আরও পড়ুন- তাজমহল সফরে সপরিবারে প্রীতি
সচিনকে বরাবরই ঈশ্বরের মতো দেখে এসেছেন পুণের বাসিন্দা ৩৩ বছর বয়সী সন্দীপ কুরহাড়ে। তিনি পুণেয় একটি ল্যাবরেটরির টেকনিশিয়ান। পুণের আম্বেগাঁওয়ে তাঁর পুরনো বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ আর তিনি করতে পারছিলেন না। জমিটাও পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছিল। ভেবেছিলেন, বাড়ি আর জমিটা বেচে দিলে নগদ টাকাও পাবেন হাতে। একটা ঝকঝকে ফ্ল্যাটও পেয়ে যাবেন। আর তারই জন্য শরণাপন্ন হয়েছিলেন পুণের ডাকসাইটে ডেভেলপার সংস্থা ‘অমিত এন্টারপ্রাইজ’-এর। সচিন তখন ছিলেন ওই সংস্থাটির ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’। আর সেটাই আরও বেশি চোখ টেনেছিল সন্দীপের। আর তাতেই বড় ঠকা ঠকেছেন সন্দীপ। তাঁর অভিযোগ, বাড়ি গিয়েছে। জমি গিয়েছে। দু’কোটি টাকাও পাননি। পেয়েছেন সাকুল্যে ২০ লক্ষ টাকা। পুলিশকে গোটা ব্যাপারটাই জানিয়েছেন তিনি। তবে তাতে কতটা কী হিল্লে হবে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না।
সচিনকে বরাবরই ‘দেবতা’র মতো দেখে এসেছেন সন্দীপ। তাই তাঁর জোরালো আশা, পশ্চিম বান্দ্রার পেরি ক্রশ রোডে তাঁর বাড়ির সামনে বসে সপরিবারে ‘আমরণ অনশন’ শুরু করলে সচিনের মন গলবেই। আর তার ফলে ‘ভক্তে’র জন্য একটা কিছু করবেনই সচিন। আর তাতেই হিল্লে হবে সন্দীপের।
ভক্তের বোঝা কি ‘ভগবান’ বয় সত্যি-সত্যিই? তার ‘অগ্নিপরীক্ষা’টা শুরু হবে আগামী বুধবার থেকে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy