ছবি: সংগৃহীত।
উপরাজ্যপালকে হটানোর দাবি নিয়ে রাজভবনের বাইরের রাস্তায় ধর্নায় বসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা। গত তিন দিন ধরে এই ঘটনার সাক্ষী পুদুচেরি। সেখানে কেন্দ্রের প্রতিনিধি, উপরাজ্যপাল কিরণ বেদীকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য চাপসৃষ্টি করতে গত শুক্রবার থেকে ধর্না দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ভি নারায়ণস্বামী।
পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সংঘাত চলছে প্রতি মুহূর্তে। দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকারের সঙ্গে উপরাজ্যরাল অনিল বৈজলের সম্পর্কের টানাপড়েনও নতুন নয়। বিরোধী দলের এই রাজ্য সরকারগুলির অভিযোগ, কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে রাজ্যপাল কিংবা উপরাজ্যপাল নির্বাচিত সরকারের কাজে এত বেশি হস্তক্ষেপ করছেন যে ঠিক ভাবে সরকারের কাজ চালানোতেই অসুবিধা হচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানাতে তিন বছর আগে কেজরীবাল তো বৈজলের বাসভবনে গিয়ে মন্ত্রীদের নিয়ে টানা নয় দিন ধরে সোফায় বসেছিলেন। তার পরেই সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, দিল্লিতে প্রশাসন পরিচালনায় স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই উপরাজ্যপালের। আসল ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচিত সরকারের হাতেই।
শীর্ষ আদালতে সে দিন কেজরীবালের জয়ের পরে পুদুচেরিতে উপরাজ্যপালকে হটাতে চাপ বাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী। সেখানকার কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক জোট সরকারের সমর্থক ও মন্ত্রীদের নিয়ে শুক্রবার থেকে রাজ নিবাসের বাইরে ধর্নায় বসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চার দিন ধরে টানা ধর্নায় বসে থাকবেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণস্বামী। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দিচ্ছেন না কিরণ বেদী। তাঁর হস্তক্ষেপের কারণে সরকারের কাজকর্ম পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। ফলে উপরাজ্যপালকে রাজ্যের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy