ধৃত পাক জঙ্গি মহম্মদ আশরফ আলি। ছবি: সৌজন্য টুইটার।
২০০৯-এ জম্মুর বাসস্ট্যান্ডে বিস্ফোরণে হাত ছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর। আইএসআই আধিকারিক নাসিরের নির্দেশেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে দিল্লি থেকে ধৃত পাক জঙ্গি মহম্মদ আশরফ। সোমবার আশরফকে পূর্ব দিল্লির লক্ষ্মীনগর থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল।
পুলিশের দাবি, জেরায় আশরফ স্বীকার করেছে ২০১১-য় দিল্লি হাই কোর্টের বাইরে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল সেই ঘটনার আগে রেকি করছিল সে। তবে বিস্ফোরণটি সে-ই ঘটিয়েছিল কি না তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও উত্তর দেয়নি এই পাক জঙ্গি। আইটিও এলাকায় দিল্লি পুলিশের প্রধান কার্যালয়েও বিস্ফোরণেরও ছক ছিল বলে জানিয়েছে সে। সে জন্য বেশ কয়েক বার ওখানে রেকি করতে গিয়েছিল আশরফ। তবে যে হেতু কার্যালয়ের সামনে কাউকে দাঁড়াতে দেয় না পুলিশ, তাই বিশেষ তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে সেই হামলার ছক ভেস্তে গিয়েছিল। সেই ঘটনার পর পরই বিষয়টি পাকিস্তানে তার পরিচালনকারীকে জানিয়েছিল বলে দাবি করেছে আশরফ।
দিল্লিতে আর কোনও বিস্ফোরণের সঙ্গে আশরফ জড়িত ছিল কি না তদন্তকারীরা তার কাছ থেকে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আশরফ পুলিশের কাছে এটাও নাকি দাবি করেছে জম্মু-কাশ্মীরে পাঁচ সেনাকে খুনের ঘটনায় সে জড়িত ছিল। যদিও আশরফের এই দাবি সত্য না মিথ্যা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আইএসআই আধিকারিক নাসিরের নির্দেশেই জন্মু-কাশ্মীরে অস্ত্র সরবরাহ করতে বেশ কয়েক বার গিয়েছিল বলে জানিয়েছে সে। আইএসআই আধিকারিকদের সঙ্গে সে ইমেলে যোগাযোগ রাখত।
গত ১৫ বছর ধরে ভুয়ো পরিচয়ে দিল্লিতে ছিল আশরফ। ভুয়ো ভোটার, আধার-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ নথিও বানিয়ে ফেলেছিল সে। পুলিশ জানিয়েছে, এই আশরফই এ দেশে জঙ্গিদের স্লিপার সেলের মাথা। জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহ করা, জঙ্গি নিয়োগ করার মতো কাজ করত সে। পাকিস্তানে তার পরিচালনকারীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখত আশরফ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy