দুই পড়ুয়ার অপহরণ এবং নৃশংস খুনের ঘটনায় জনবিক্ষোভের জেরে শুক্রবার নতুন করে অশান্তি ছড়াল মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে। ইম্ফল পূর্ব জেলার খুরাই সাজোর লেইকাই এলাকায় স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী এল সুসিন্দ্রোর বাসভবন তছনছ করল উত্তেজিত জনতা। ঘটনার রেশ দেখা গিয়েছে শনিবার সকালেও। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুদ্ধ জনতার সংঘর্ষ হয়েছে ইম্ফলের বিভিন্ন এলাকায়।
মেইতেই জনগোষ্ঠীর দুই পড়ুয়ার খুনের ঘটনার জেরে চলতি সপ্তাহে নতুন করে অশান্ত হয়েছে মণিপুর। গুজব ঠেকাতে মঙ্গলবার থেকে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার ইন্টারনেট পরিষেবার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে, কুকি অধ্যুষিত পাহাড়ি অঞ্চলে আগামী ছ’মাসের জন্য বলবৎ থাকবে ‘সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন’ (‘আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ বা আফস্পা)। কিন্তু তাতে ফল মেলেনি।
আরও পড়ুন:
এই পরিস্থিতিতে নতুন করে মেইতেই ছাত্র-যুব সংগঠনগুলির বিক্ষোভে ফের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে শতাধিক বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ফলে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ইতিমধ্যেই থৌবলে জেলা বিজেপি দফতর এবং ইম্ফলে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পৈতৃক বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা।
আরও পড়ুন:
সূত্রের খবর, গত ৬ জুলাই থেকে ওই দুই পড়ুয়া নিখোঁজ ছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, দুই সশস্ত্র আততায়ীর সঙ্গে বসে রয়েছে দুই পড়ুয়া। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, তাদের দেহ পড়ে রয়েছে। ছবি দু’টির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। এনডিটিভি সূত্রে খবর, ওই দুই পড়ুয়ার দেহ এখনও উদ্ধার করা হয়নি। ওই দুই পড়ুয়াকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল বিষ্ণুপুর জেলায়। অভিযোগ, মেইতেই জনগোষ্ঠীর ওই দুই পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুন করেছে কুকিরা।