বিধানসভার মধ্যে রাতভর অবস্থান করেন কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ‘দাদি’ বলে কটাক্ষ করায় রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা। হইহট্টগোল করেন অধিবেশন কক্ষেই। সেই কারণেই রাজস্থানের ছয় কংগ্রেস বিধায়ককে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করা হয়। তার প্রতিবাদেই সারা রাত বিধানসভায় কাটালেন তাঁরা। কিন্তু তা বলে কি সারা রাত তাঁরা না খেয়ে কাটাবেন? রাত বাড়তেই দেখা যায় বিধানসভার সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসেন দুই ব্যক্তি। তাঁদের হাতে বড় টিফিন বাক্স। ভেতরে ঠাসা খাবার। কী নেই মেনুতে। বাজরার রুটি, সব্জি, রসুনের আচার, আলুর দম, রায়তা, হালুয়া— আরও কত কী!
শুক্রবার রাজস্থান বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিজেপি বিধায়ক তথা মন্ত্রী অবিনাশ গহলৌত টেনে আনেন ইন্দিরার প্রসঙ্গ। কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ‘আপ কি দাদি’ বলে সম্মোধন করেন। এই নিয়ে তুমুল হইহট্টগোল শুরু হয় বিধানসভায়। মন্ত্রী গহলৌতের কথায় আপত্তি জানান কংগ্রেস বিধায়কেরা। তাঁদের দাবি, ‘দাদি’ শব্দটি বিধানসভার রেকর্ড থেকে মুছে ফেলা হোক। বিরোধীদের গন্ডগোলের জেরে মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। পরে বিজেপির তরফে বিধানসভার বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ছয় কংগ্রেস বিধায়ককে সাসপেন্ড করার দাবি জানানো হয়। সেই দাবি মেনেও নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
সাসপেন্ড হওয়া কংগ্রেস বিধায়কেরা হলেন গোবিন্দ সিংহ, রামকেশ মীনা, জাকির হুসেন, সঞ্জয় কুমার, আমিন কাজি এবং হাকিম আলি। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এ ভাবে তাদের দমানো যাবে না। তার পরেই রাতভর বিধানসভায় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেন সাসপেন্ড হওয়া বিধায়কেরা। কিন্তু রাতে খাবার কী হবে? তা নিয়ে বিধায়কেরা চিন্তায় পড়েন। সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন কংগ্রেস বিধায়ক অনিল শর্মা। নিজের বাড়ি থেকে খাবার আনানোর ব্যবস্থা করেন তিনি।