ঘুড়ি দিয়ে ড্রোন নামানোর চেষ্টা। ছবি: সংগৃহীত।
কৃষক আন্দোলনের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবারও উত্তাল পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্ত। ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারী কৃষকরা আবারও চেষ্টা করেন। সেই পরিস্থিতি সামলাতে ড্রোন থেকে আবারও রাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। আন্দোলনের প্রথম দিন থেকেই কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে এই কৌশল নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবারও সেই ছবি ধরা পড়েছে।
কিন্তু পুলিশের এই কৌশল থামাতে পাল্টা পথও বার করে নিয়েছে কৃষকরা। কাঁদানে গ্যাস থেকে বাঁচতে তাঁরা যেমন মুলকানি মাটি মাখছেন মুখে, গায়ে ভেজা চট জড়িয়ে রাখছেন, তেমনই ড্রোনকে টেক্কা দিতে কৃষকেরা ঘুড়িকেই হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। সীমানায় তাঁরা ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন। আর ড্রোন দেখলেই সেই ঘুড়ি দিয়ে তা ‘শিকার’ করছেন।
বৃহস্পতিবারও দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে পঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমানা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে কৃষকদের বিরুদ্ধে। পাল্টা পুলিশও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। শম্ভু সীমানার পর নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে এ বার হরিয়ানার দাতা সিংহওয়ালা-খানাউরি সীমানাও বন্ধ করে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। রাজপুরা স্টেশনে রেললাইনের উপর বসে পড়েন ২০০ জন কৃষক। শম্ভু সীমানার কাছে এই স্টেশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রেলপথ পঞ্জাবের সঙ্গে দিল্লির যোগাযোগ রক্ষাকারী এই রেলপথ আন্দোলনের জেরে বৃহস্পতিবার পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত ওই রেলপথ অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন কৃষকেরা।
কৃষকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করার জন্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর পঞ্জাব সরকারকে দুষলেন। তাঁর কথায়, “কৃষকদের রোখার জন্য পঞ্জবা সরকারকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কোনও পদক্ষেপই করেনি। পঞ্জাব সরকার চাইলে কৃষকদের আটকাতে পারত। কিন্তু তা করছে না। এটা থেকেই স্পষ্ট ওরা কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করছে।” হরিয়ানার পাশাপাশি নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে দিল্লিতেও। বহু স্তরীয় ব্যারিকেডের পাশাপাশি টিকরি সীমানায় রাতারাতি ১০ ফুটের পাঁচিল তোলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy