কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ফাইল চিত্র।
জম্মুর বাসিন্দাদের জঙ্গি হামলা থেকে বাঁচাতে ৩৬০ ডিগ্রি নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি উপত্যকার সংখ্যালঘুদের হত্যার সব তদন্ত জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) করবে বলেও ঘোষণা করলেন শাহ।
বছরের শুরুতে জঙ্গিদের জোড়়া হামলায় রাজৌরি এলাকায় সাত জন হিন্দুর মৃত্যু হয়। বিরোধীদের মতে, হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ওই হত্যাকাণ্ডে দলীয় ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব পড়়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় তড়়িঘড়়ি জম্মু-কাশ্মীরে ছুটে যেতে বাধ্য হয়েছেন শাহ। আজ তাঁর নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে রাজৌরি গিয়ে দেখা করার থাকলেও, আবহাওয়া খারাপ থাকায় হেলিকপ্টার উড়তে পারেনি। ফলে জম্মু থেকেই ফোনে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেন শাহ। পরে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘রাজৌরির মতো ঘটনা যাতে না হয় সে জন্য গোটা জম্মুকে ৩৬০ ডিগ্রি নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ আগামী তিন মাসের মধ্যে জম্মুর সিকিয়োরিটি গ্রিড-কে শক্তিশালী করে তোলা হবে। বাহিনী সূত্রের খবর, ৩৬০ ডিগ্রি সুরক্ষার অঙ্গ হিসেবে জম্মুর হিন্দুদের পাহারা বাড়ানো, অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন ও নিয়ন্ত্রণ রেখায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শাহ বলেন, ‘‘যে সমস্ত শক্তি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করে চলেছে তাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে জম্মু-কাশ্মীরে সংখ্যালঘুদের বেছে বেছে হত্যার তদন্ত এনআইএ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গেই যৌথ ভাবে করবে বলে জানান শাহ।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকেই সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা কমে এলেও, সংখ্যালঘু হিন্দু পণ্ডিত ও শিখেদের হত্যা বেড়ে গিয়েছে। বছরের শুরুতে উপত্যকার সীমানা পেরিয়ে জম্মুর হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় হানা দেয় জঙ্গিরা। জম্মু-কাশ্মীরে বিজেপির মূল ভোটব্যাঙ্ক হলেন হিন্দুরাই। যাঁদের ভরসায় জম্মু-কাশ্মীরের আগামী নির্বাচনে জেতার ভরসা করে রেখেছে বিজেপি। সেই হিন্দু সমাজের উপরে এ ভাবে ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় বিজেপির উপর থেকে সমর্থন যে ক্রমশ সরে যাচ্ছে তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন দলীয় নেতৃত্ব। যদিও অমিত শাহের দাবি, ‘‘অতীতের তুলনায় ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পরে উপত্যকায় সংখ্যালঘু হত্যা অনেক কমে গিয়েছে। কমেছে সার্বিক জঙ্গি হামলার ঘটনাও।’’ সম্প্রতি গ্রামীণ প্রতিরক্ষা কমিটির হাতে নিরাপত্তার স্বার্থে অস্ত্র তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। যদিও সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে রাজৌরির ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামগুলিকে নিরাপত্তার প্রশ্নে শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত গত বছরের অগস্ট মাসে নেওয়া হয়েছিল। এর সঙ্গে রাজৌরির কোনও সম্পর্ক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy