সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া সেই সন্দেহভাজন। ছবি: সংগৃহীত।
সকাল ১১টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৫৬। বেঙ্গালুরুর ক্যাফেতে বিস্ফোরণের এই ৮৬ মিনিটের রহস্যভেদই এখন চ্যালেঞ্জ তদন্তকারীদের। ওই সময়ের মধ্যে সন্দেহভাজন ক্যাফেতে কী কী করেছিলেন, তার একটা প্রাথমিক ছবি পেয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু তার পরেও বেশ কয়েকটি প্রশ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে ক্যাফের ভিতরে সন্দেহভাজনের ছবি ধরা পড়েছে ঠিকই, কিন্তু ক্যাফে থেকে বেরোনোর পর ১০০ মিটার পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে দেখা গেলেও, তার পর থেকে তাঁকে আর দেখা যায়নি। তা হলে প্রশ্ন উঠছে, ওই ব্যক্তি কোথায় ‘উধাও’ হলেন?
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, সন্দেহভাজন ওই যুবকের বয়স ২৮-৩০ বছরের মধ্যে। সকাল সাড়ে ১১টায় একটি ব্যাগ নিয়ে ক্যাফেতে ঢুকেছিলেন। ১১টা ৩৮ মিনিটে ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে ইডলির অর্ডার দেন। ১১টা ৪৪ মিনিটে ওয়াশ বেসিনের কাছে যান। ১১টা ৪৫ মিনিটে ক্যাফে থেকে বেরিয়ে যান। ঠিক ১২টা ৫৬ মিনিটে বিস্ফোরণ হয়। সন্দেহভাজন যুবকের ক্যাফেতে আসা, ক্যাফে ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ৭৬ মিনিট পরই বিস্ফোরণ— এই সমস্ত টুকরো টুকরো ঘটনাগুলিকে জুড়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ছবি পাওয়ার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু সেই বিস্ফোরকের মাত্রা খুব বেশি না থাকায় জোরালো বিস্ফোরণ হয়নি। বেশি মাত্রায় এই বিস্ফোরক ব্যবহার করলে ছবিটা অন্য রকম হতো। প্রচুর প্রাণহানি ঘটতে পারত। এই ঘটনাকে অনেকে আবার ‘লোন উল্ফ’ হামলা বলেই মনে করছেন। কিন্তু এই হামলার চক্রী কে, এখন তা খুঁজে বার করাই চ্যালেঞ্জ তদন্তকারীদের। ঘটনার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারেননি তদন্তকারীরা। তবে ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে বেঙ্গালুরুর অন্যতম জনপ্রিয় রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণে পাঁচ জন আহত হয়েছেন। যে সময় বিস্ফোরণ ঘটে, সেই সময় ক্যাফেতে ২৫০ জন গ্রাহক ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy