প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
দিল্লির লোদী রোডের সরকারি বাংলোয় প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা যাতে আরও কিছু দিন থাকতে পারেন, সে জন্য কি তাঁর হয়ে কেন্দ্রীয় আবাসনমন্ত্রীকে কোনও ওজনদার কংগ্রেস নেতা ফোন করেছিলেন? অন্য কোনও দলকে না দিয়ে বাংলোটি কংগ্রেস সাংসদদের জন্যই রাখতে বলেছিলেন? মঙ্গলবার একটি টুইটে এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় আবাসনমন্ত্রী হরদীপ পুরি। পাল্টা টুইটে প্রিয়ঙ্কা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এমন কোনও অনুরোধই করেননি। এটা ‘ভুয়ো খবর’। যে সময়ে ছাড়ার কথা, সেই সময়েই তিনি দিল্লির সরকারি বাংলোটি ছেড়ে দেবেন।
দিল্লির ৩৫ নম্বর লোদী রোডে একটি সরকারি বাংলো রয়েছে প্রিয়ঙ্কার। ১৯৯৭ সাল থেকে। বাংলোটি এ বার ছেড়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় আবাসনমন্ত্রকের তরফে প্রিয়ঙ্কাকে একটি নোটিস পাঠানো হয় গত ১ জুলাই। তাতে বলা হয়, আগে তিনি স্পেশাল প্রোটেকশান গ্রুপের নিরাপত্তা পেলেও গত এক বছর যাবৎ তিনি আর সেই বিশেষ সুবিধার আওতায় নেই। ফলে, ওই সরকারি বাংলোয় থাকার অধিকার আর তাঁর নেই। বাংলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে এক মাস সময় দেওয়া হয়। যে সময়সীমা শেষ হবে আগামী ১ অগস্ট।
এ দিন একটি টুইটে কেন্দ্রীয় আবাসনমন্ত্রী হরদীপ পুরি অভিযোগ করেন, গত ৪ জুলাই এক ওজনদার কংগ্রেস নেতা তাঁকে ফোন করেছিলেন। বেলা ১২টা ৫ মিনিটে। সেই কংগ্রেস নেতার অনুরোধ ছিল, ৩৫ নম্বর লোদী রোডের সরকারি বাংলোটি যেন কংগ্রেস সাংসদদের জন্যই রাখা হয়। সেটি যেন অন্য কোনও দলের সাংসদের জন্য বরাদ্দ না করা হয়। তাতে প্রিয়ঙ্কাকে বাংলোটি ছাড়তে হবে না।
Facts speak for themselves!
— Hardeep Singh Puri (@HardeepSPuri) July 14, 2020
A powerful Congress leader with much clout in the Party called me on 4 July 2020 at 12:05 pm to request that 35, Lodhi Estate be allotted to another INC MP so that Priyanka Vadra can stay on.
Let’s not sensationalise everything please. https://t.co/n1RQr6SGm6
এই টুইটের পরপরই পাল্টা টুইট করেন প্রিয়ঙ্কা। তাতে অবশ্য কোনও কংগ্রেস নেতার ফোন করার অভিযোগটি তিনি সরাসরি উড়িয়ে দেননি।
আরও পড়ুন: বিধায়ক আত্মঘাতী, ইঙ্গিত পোস্টমর্টেমে, জানালেন স্বরাষ্ট্রসচিব
আরও পড়ুন: নেপালের মানচিত্রে এ বার রামজন্মভূমিকেও ঢুকিয়ে ফেললেন ওলি
টুইটে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘‘আপনাকে যদি কেউ ফোন করে থাকেন, আমার জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার জন্য তাঁকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার বিবেচনার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকেও। কিন্তু এর পরেও সত্যটা কিন্তু বদলাচ্ছে না। আমি এমন কোনও অনুরোধ জানাইনি। এমন কোনও অনুরোধ আমি এখনও জানাচ্ছি না। এটা ভুয়ো খবর। আমার একটাই কথা, ১ অগস্টের মধ্যেই আমি বাংলোটি ছেড়ে দেব।’’
সরকারি সূ্ত্রের খবর, আগেও এক বার ওই বাংলোয় তাঁর থাকার মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সেই সময় তাঁর অনুরোধ রাখাও হয় সাময়িক ভাবে।
প্রিয়ঙ্কার টুইটের পর কেন্দ্রীয় আবাসনমন্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে টুইট করেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালা। ফেসবুক পোস্টে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরাও।
রবার্ট লেখেন, ‘‘এটা একেবারেই অসত্য। আমরা ওই বাংলোয় থাকার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কোনও অনুরোধ জানাইনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy