টুইট করা সেই ছবি।
চোখ স্বল্প অবনত। হাঁটু মুড়ে বসে নীচের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। মুখে স্মিতভাব। পরনে লালচে কাঞ্জিভরম, আধো ঘোমটা দেওয়া।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা তাঁর এই পুরনো ছবিটি এ দিন ‘হ্যাশট্যাগ শাড়ি টুইট’-এ দেওয়ার পর থেকে হইহই। প্রিয়ঙ্কা ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘‘আমার বিয়ের দিন সকালের পুজো (বাইশ বছর আগে)।’’ দেখামাত্র দুইয়ে-দুইয়ে চার করতে লেগে পড়েন যুব কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও। রিটুইট চলতে থাকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়ে। শুভেচ্ছার বন্যায় কার্যত কোণঠাসা প্রিয়ঙ্কা তখন বলতে বাধ্য হন, ‘‘বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। কিন্তু ছবিটা এমনিই পোস্ট করেছি হ্যাশট্যাগ শাড়ি টুইটের জন্য। আমার বিবাহবার্ষিকী ফেব্রুয়ারি মাসে।’’
শাড়ি-নাট্যের এখানেই শেষ নয়! মজা করে প্রিয়ঙ্কা এর পর রবার্ট বঢরাকে ট্যাগ করে টুইট করেন, ‘‘তুমি তা-ও আমাকে ডিনারে নিয়ে যেতে পার!’’ রবার্ট জবাব দেন, ‘‘ওয়াও! দারুণ ছবি। আমার কাছে অবশ্য প্রতিটা দিনই তুমি একই রকম। ভালবাসা, ভাল থাকা আর পাশে থাকা, এগুলোই তো আমাদের অস্তিত্বের ভিত। একরাশ ভালবাসা রইল।’’ এই ভালবাসাবাসির মধ্যে অবশ্য আজ আদালতেও চক্কর কাটতে হয়েছে রবার্টকে। প্রিয়ঙ্কার ডিনারের আবদার যখন তাঁর মোবাইলে পৌঁছেছে, তখন আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় তাঁর আগাম জামিন খারিজ করার জন্য ইডি গিয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। তবে রবার্ট আদালতের থেকে দু’সপ্তাহের সময় জোগাড় করেছেন উত্তর দেওয়ার জন্য।
রাহুলের পরে কংগ্রেসের কান্ডারি কে হবেন, তা নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যে আজ এই দিনভর প্রিয়ঙ্কা-চর্চায় নতুন কোনও সম্ভাবনা তৈরি হল কি না, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। তবে দলের ভিতরে ‘প্রিয়ঙ্কা লাও দেশ বাঁচাও’ স্লোগানকে সমূলে বিনষ্ট করতে রাহুল এর আগে নিজেই উদ্যোগী হয়েছিলেন। ইস্তফা দেওয়ার পরই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর বোনের নাম নিয়ে কোনও দাবি যেন না ওঠে। কিন্তু আজ বাইশ বছর আগের ছবিটি নতুন করে প্রিয়ঙ্কার বিপুল জনগ্রাহ্যতাকে সামনে নিয়ে এল— এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। অনেকেই জানতে চাইছেন শাড়িটি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর কি না! প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ তিনটি টুইট করে লিখেই দিয়েছেন, কংগ্রেস কর্মী ও সমর্থকের আওয়াজ উপেক্ষা করা উচিত নয় প্রিয়ঙ্কার। দলের রাশ ধরা উচিত তাঁরই। তা হলেই এক সময় ইন্দিরা গাঁধী যে ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন, সেই পরিস্থিতি আবার তৈরি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy