মির্জাপুরে ধর্নায় প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। ছবি সোজন্য টুইটার।
সোনভদ্রে যাওয়ার আগেই মির্জাপুরের কাছে আটকে দেওয়া হল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে। সেই সঙ্গে তাঁকে আটকও করল পুলিশ। প্রিয়ঙ্কার নেতৃত্বে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার নিহতদের পরিবারদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন সোনভদ্রে। মাঝপথে বাধা পেয়েই রাস্তার উপর সদলবলে বসে পড়েন তিনি।
গত বুধবার এই উত্তরপ্রদেশের এই গ্রামে জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। আহত হন অনেকে। এ দিন সকালে বারাণসীতে যান প্রিয়ঙ্কা। সেখানে সোনভদ্রের ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করেন। তার পর তিনি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ওই গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। গ্রামে কোনও রকম জটলা করা যাবে না এই নির্দেশিকা আগেই জারি করেছিল প্রশাসন। প্রিয়ঙ্কা যেতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
কেন তাঁকে বাধা দেওয়া হল এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দেন প্রিয়ঙ্কা। সাংবাদিকদের এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পীড়িত পরবিবারগুলোর সঙ্গে শুধু দেখা করতে চেয়েছিলাম। আমার ছেলের বয়সী একটি ছেলে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে।” এর পরই তাঁর প্রশ্ন, কোন আইনের ভিত্তিতে আমাকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না? এ বিষয়ে নির্দেশিকাও দেখতে চান তিনি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলেও যোগী আদিত্যনাথের সরকারকেও তীব্র আক্রমণ করেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, “বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে অপরাধীদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে। দিনেদুপুরে হত্যা করছে। আর এটা ঘটেই চলেছে। সোনভদ্রের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ রকম নৈরাজ্য দেখেও প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন। এটা কি রাজ্যকে অপরাধমুক্ত করার নমুনা?”
যদিও রাজ্যে মাফিয়ারাজের জন্য কংগ্রেসকেই পাল্টা দায়ী করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, “কংগ্রেস সরকারই মাফিয়াদের রক্ষা করত। সোনভদ্রের ঘটনা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ।”
আরও পড়ুন: ‘আকাশ থেকে পড়বে না ৫ লক্ষ কোটির অর্থনীতি’, নির্মলাকে খোঁচা প্রণবের
আরও পড়ুন: ঋতুপর্ণার পর এবার রোজভ্যালি কাণ্ডে ইডির দফতরে প্রসেনজিৎ, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy