Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
Priyanka Gandhi Vadra

অক্সিজেন নিয়ে প্রশ্ন প্রিয়ঙ্কার, টিকা নেই দিল্লির

  অক্সিজেনের অভাব নিয়ে আগেও সরব হয়েছেন সনিয়া-কন্যা। ‘জিম্মেদার কৌন’ শীর্ষক প্রচারও চালাচ্ছেন তিনি।

—ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২১ ০৫:৩৮
Share: Save:

সরকারের অকর্মণ্যতা এবং পরিকল্পনার অভাবের কারণেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মুখে দেশ জুড়ে মেডিক্যাল অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। অক্সিজেনের অভাব নিয়ে আগেও সরব হয়েছেন সনিয়া-কন্যা। ‘জিম্মেদার কৌন’ শীর্ষক প্রচারও চালাচ্ছেন তিনি। প্রিয়ঙ্কার বক্তব্য, জনতার কাছে শাসক পক্ষের জবাবদিহি করার সময় এসেছে। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘২০২০ সালে ভারত অক্সিজেন রফতানি ৭০০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছিল। অথচ আকাশছোঁয়া চাহিদার মুখে অক্সিজেন আমদানির কোনও চেষ্টাই করা হয়নি।’’ দৈব-দুর্বিপাকের কথা ভেবে কেন কোনও পরিকল্পনা তৈরি রাখা হয়নি, ক্রায়োজেনিক ট্যাঙ্কারের সংখ্যা কেন বাড়ানো হয়নি, স্বাস্থ্য বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পরামর্শ কেন ক্রমাগত অগ্রাহ্য করা হয়েছিল— সেই সব প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার অভিযোগ, টিকা বণ্টন প্রক্রিয়ায় বিলম্ব করেই চলেছে কেন্দ্র। টিকা শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৮ থেকে ৪৪ বছরের টিকাকরণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে দিল্লি সরকার। কেন্দ্রের হাতে রাজ্যগুলির জন্য টিকা না-থাকলে বেসরকারি হাসপাতালগুলি কী ভাবে টিকা পাচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সিসৌদিয়া বলেন, ‘‘১৮ থেকে ৪৪ বছরের গ্রহীতাদের জন্য টিকা জুনে পাওয়া যাবে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে। তবে আমরা সেটা ১০ জুনের আগে পাবই না।’’

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেবে, ১.৮২ কোটি ডোজ়ের বেশি টিকা এখন রাজ্যগুলির হাতে রয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে আরও চার লক্ষেরও বেশি টিকা রাজ্যগুলিকে পাঠানো হবে। এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, জুলাইয়ের শেষে দৈনিক এক কোটি টিকাকরণ করা যাবে বলে আশা করছে ভারত। তবে লক্ষ্যপূরণের জন্য টিকার উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশ থেকে যত বেশি সম্ভব টিকা আনানো প্রয়োজন। তিনি জানান, উৎপাদক সংস্থাগুলি টিকা বিক্রির ক্ষেত্রে একাধিকের বদলে একটি মাত্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় জোর দিয়ে এসেছে। এই বিষয়টিরও সার্বিক সমাধান প্রয়োজন। কেন্দ্র জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সমস্ত রাজ্যকে ২২.৭৭ কোটি ডোজ়েরও বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গত এক মাসে বিদেশ থেকে আসা ১৮,০৪০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ১৯,০৮৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, প্রায় ৭.৭ লক্ষ রেমডেসিভিয়ারের ভায়াল, ১৯টি অক্সিজেন প্লান্ট, ১৫,২৫৬টি ভেন্টিলেটর ও বাইপ্যাপ এবং ১২ লক্ষ ফ্যাভিপিরাভিয়ার ট্যাবলেট বিভিন্ন রাজ্যকে পাঠানো হয়েছে।

দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আগেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ সেই মামলায় কেন্দ্রের টিকাকরণ নীতি থেকে শুরু করে অক্সিজেন ও ওষুধ বণ্টনের মতো বিষয় নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছিল। কিন্তু বিচারপতি চন্দ্রচূড় কোভিড পজ়িটিভ হওয়ায় গত ১৩ মে মামলাটির শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। আজ জানানো হয়েছে, ৩১ মে ফের শুনানি শুরু হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Priyanka Gandhi Vadra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy