সনিয়া গাঁধীর লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলীতে মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়েও সরব হন প্রিয়ঙ্কা। ফাইল ছবি
রাহুল গাঁধীর ‘হিন্দু’ ও ‘হিন্দুত্ববাদী’ সংক্রান্ত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে এ বার আসরে নামলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। আজ উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীতে জনসভায় প্রিয়ঙ্কা বলেন, বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার পরিবর্তে ধর্মের নামে রাজনীতি করে। হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে এটাই পার্থক্য। সেই পার্থক্যই তুলে ধরতে চেয়েছেন রাহুল গাঁধী।
গত রবিবার রাজস্থানের জয়পুরে জনসভায় প্রথম হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদীর পার্থক্য টেনেছিলেন রাহুল। নিজেকে হিন্দু ও বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারকে হিন্দুত্ববাদী হিসাবে ব্যাখ্যা করে সূক্ষ্ম বিভাজনরেখা টানার কৌশল নেন তিনি। দলের একটি অংশের মতে, এর ফলে সংখ্যালঘু মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের ভুল বোঝার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
বিভ্রান্তি কাটাতে কাল অমেঠীতে মুখ খুলেছিলেন রাহুল। নরেন্দ্র মোদীর গঙ্গাস্নানের উদাহরণ তুলে বলেন, হিন্দুত্ববাদী একা স্নান করেন। সেখানে হিন্দুরা কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে স্নান করেন। হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদীর মধ্যে পার্থক্য হল, এক দিকে সত্য, অন্য দিকে মিথ্যা। আজ রাহুলের সমর্থনে মুখ খুলে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্ম সত্যের কথা বলে, সকলকে ভালবাসতে শেখায়। সেখানে সঙ্ঘ পরিবার ও বিজেপি সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার পরিবর্তে ধর্মের নামে রাজনীতি করে। রাহুল গাঁধী হিন্দু ও হিন্দুত্ববাদীর মধ্যে ওই পার্থক্যই বোঝাতে চেয়েছেন।’’
আজ সনিয়া গাঁধীর লোকসভা কেন্দ্র রায়বরেলীতে মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়েও সরব হন প্রিয়ঙ্কা। রান্নাঘরে গ্যাস পৌঁছে দেওয়া বা শৌচাগার বানিয়ে দিলেই মহিলাদের ক্ষমতায়ন হয় না বলে আক্রমণ শানান। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘প্রত্যেক মা চান, তাঁর মেয়ে শিক্ষিত হোক। যাতে মেয়ে তাঁর মায়ের চেয়ে ভাল জীবন কাটাতে পারেন। আমাদের লক্ষ্যই হল, মায়েদের সেই স্বপ্নপূরণে সাহায্য করা।’’ উত্তরপ্রদেশ ভোটে মহিলাদের ভোট পেতে আলাদা করে কৌশল নিয়েছে কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে মহিলাদের জন্য আলাদা ইস্তাহারও প্রকাশ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy