করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফাইল চিত্র।
স্কুল খুলতেই ছোটদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাই স্কুলপড়ুয়াদের যত দ্রুত সম্ভব টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসার উপরে জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খুদেদের টিকাকরণে গতি আনতে প্রয়োজনে স্কুলগুলিতে বিশেষ টিকাকরণ শিবির আয়োজন করার পরামর্শও দেন তিনি।
মাঝে সাময়িক স্বস্তি দিলেও গত দু’সপ্তাহে ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোভিড সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় সংক্রমণের শিকার হচ্ছে সেই সব বাচ্চা, যারা এখনও টিকার একটিও ডোজ় পায়নি। এই আবহে সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ রুখতে আজ দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে করোনা-সংক্রান্ত ২৪তম বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মোদী বলেন, ‘‘ওমিক্রন ও তার উপপ্রজাতি ইউরোপে সক্রিয়। যার ফলে ওই মহাদেশের বিভিন্ন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সংক্রমণ বাড়ছে ভারতেও।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, সংক্রমণ বৃদ্ধির আবহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকেরা। তাই যে শিশুরা টিকা পায়নি, তাদের দ্রুত টিকাকরণের উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্তমানে দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশ টিকার অন্তত একটি ডোজ় পেয়েছেন। ১৫ বছরের বেশি বয়সি অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ৮৪ শতাংশ ইতিমধ্যেই টিকার দু’টি
ডোজ় পেয়ে গিয়েছে। চলছে ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণও। কিন্তু এত দিন ৬-১২ বছরের বয়সিরা টিকাকরণের আওতার বাইরে রয়ে গিয়েছিল। ওই বয়সের কারও টিকাকরণ না করেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় ওই বয়সিদের মধ্যে বেশি করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। তাই দেরি না করে গতকালই ৬-১২ বছর বয়সিদের জন্য ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকা মঞ্জুর করেছে মোদী সরকার। আজ এ প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের মধ্যে টিকাকরণের হার বাড়াতে প্রয়োজনে বিদ্যালয়গুলিতে টিকাকরণ শিবির করতে হবে।’’ তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন করার উপরেও জোর দেন।
বর্তমানে এ দেশে টিকাকরণের মাধ্যমে কোভিডের বিরুদ্ধে সুরক্ষাকবচকে শক্তিশালী করতে দেশের স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের পরে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রিকশান বা বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু হয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষক-শিক্ষিকা বা বাড়িতে শিশুসন্তান রয়েছে এমন বাবা-মায়েদেরও প্রিকশান ডোজ় নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নিয়মানুযায়ী, দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার ন’মাস পরে প্রিকশান ডোজ় নিতে পারবেন এক ব্যক্তি। এ ছাড়া, সংক্রমণকে দ্রুত চিহ্নিতকরণ করতে সর্দি-কাশির উপসর্গ থাকলেই আরটিপিসিআর পরীক্ষা করানোর উপরে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে সেই নমুনা জিনোম পরীক্ষার জন্য পাঠানোর পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, ওই জিনোম পরীক্ষাই বলে
দেবে দেশের কোনও প্রান্তে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রশ্নে করোনা ভাইরাসের কোন প্রজাতি সক্রিয়। যার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হবে মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy