প্রয়াগরাজের কুম্ভমেলায় আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত যাননি। দিল্লিতে আরএসএসের দফতর কেশবকুঞ্জ ঢেলে সাজানোর পরে তার উদ্বোধনে নরেন্দ্র মোদীকে দেখা যায়নি। তবে সম্প্রতি মরাঠি সাহিত্য সম্মেলনের মঞ্চে এত দিনের প্রথা ভেঙে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর রাজনীতির আঁতুড়ঘর আরএসএসের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আরএসএসের সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত খোদ নাগপুরে এক মঞ্চে আসতে চলেছেন। সব ঠিক থাকলে তাঁরা একই মঞ্চ থেকে বক্তৃতাও করবেন। নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বের গত ১১ বছরের সময়কালে এই প্রথম। গত ১১ বছরে নরেন্দ্র মোদী এক বারই রাতে নাগপুরে ছিলেন। গত লোকসভা ভোটের প্রচারের সময়ে। ৩০ মার্চ নাগপুরে আরএসএসের প্রাক্তন মাধব সদাশিব গোলওয়লকরের নামাঙ্কিত মাধব নেত্রালয়ের নতুন ভবনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মোদী ও ভাগবত দু’জনেই হাজির থাকবেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস, নাগপুরের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ীরও অনুষ্ঠানে থাকার কথা।
এর আগে অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিল্যানাস অনুষ্ঠানে মোদী ও ভাগবত একসঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠাতেও ভাগবত হাজির ছিলেন। কিন্তু সেখানে শুধু প্রধানমন্ত্রী মোদীই মঞ্চ থেকে বক্তৃতা করেছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনে আরএসএসের নিষ্ক্রিয়তার ফলে বিজেপিকে খেসারত দিতে হয়েছিল। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপি এখন আরএসএসকে ছাড়াই চলতে পারে। ভোটের ফলে বিজেপির আসন কমে যাওয়ার পরে ভাগবত একাধিক বার পরোক্ষে বিজেপি নেতৃত্বের অহংবোধের দিকে আঙুল তুলেছেন।
তার পরে বিজেপি, আরএসএসের দূরত্ব মেটায় প্রথমে মহারাষ্ট্র, তারপরে হরিয়ানা ও দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আরএসএসকে প্রবল ভাবে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। আরএসএসের সক্রিয় ভূমিকা বিজেপিকে তিন রাজ্যেই জিততে সাহায্য করেছে। তার পরে মোদী ও ভাগবতের এক মঞ্চে আসাকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেগেরুয়া শিবির।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)