নভ জেল জুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
জেলের ভিতরেই খুন হল শিখ ধর্মগ্রন্থের অবমাননার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহিন্দর পাল বিট্টু (৪৯)। ঘটনার পরেই দাঙ্গার আশঙ্কায় পঞ্জাব জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সমস্ত জেলা ও সদর শহরগুলিকে সতর্ক থাকার জন্য বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ।
পুলিশ জানিয়েছে, বিট্টুকে কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা নভ জেলে রাখা হয়েছিল। শনিবার বিকেল সওয়া ৫টা নাগাদ তার উপর হামলা চালায় জেলেরই অন্য দুই বন্দি গুরুসেবক সিংহ ও মণীন্দ্র সিংহ। লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বিট্টুকে। গুরুতর জখম অবস্থায় পাতিয়ালার নভ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গত বছরেই গ্রেফতার করা হয়েছিল বিট্টুকে।
বিট্টু ফরিদকোটের বাসিন্দা। গুরমিত রাম রহিমের ‘ডেরা সাচা সৌদা’-র এক জন অনুগামী ছিলেন। ২০১৫ সালে ফরিদকোটের বারগারিতে শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ অপবিত্র করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছিল। মোগা জেলায় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় দুই বিক্ষোভকারীর। ফরিদকোটের কোটকাপুরাতেও বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই মামলা এখনও চলছে।
যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য জ্বলে উঠেছিল, সেই ঘটনার মূল অভিযুক্তের মৃত্যুতে যাতে ২০১৫-র ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তাই আগেভাগেই সতর্কতা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সূত্রের খবর, দুই কোম্পানি করে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ও র্যাফ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নভ জেলের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অশান্ত ভাটপাড়া, ছড়াচ্ছে গুজবও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবেন অহলুওয়ালিয়া
আরও পড়ুন: লভ ইউ কে, ডোন্ট ফরগেট মি... কৃত্তিকার ‘সুইসাইড নোটে’ কে এই ‘কে’? খুঁজছে পুলিশ
কেন বিট্টুকে খুন করা হল? তাকে খুনের পিছনে ব্যক্তিগত আক্রোশ না কি অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জন্য জেল সুপার এবং ব্যারাক-ইন-চার্জকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। গুজবে কান না দিতে এবং সেই সঙ্গে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অপরাধীদের কড়া শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy